সারাদেশ

যশোর মনিরামপুরে বিদেশ ফেরত যুবকের সর্দি, কাশিতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ

যশোর প্রতিনিধি: মণিরামপুরের কোদলাপাড়ায় মালয়েশিয়া ফেরত কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক যুবক সর্দি , কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন, খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শনিবার বিকেল থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । এলাকাবাসীর ধারণা ওই যুবক করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন । তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলছেন , স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীর মাধ্যমে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায় , ওই যুবক গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসেন । এরপর তিনি অবাধে চলাফেরা শুরু করেন । পরে বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে তাকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য করা হয় । গত শুক্রবার রাত থেকে সর্দি , কাশি ও গলা ব্যথা শুরু হয় তার । শনিবার সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী রাশিদা আক্তার ওই বাড়িতে গিয়ে রােগীর সাথে কথা বলে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা . শুভ্র রানী দেবনাথকে জানান । শুভ্রা রানীর দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওই যুবককে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন রাশিদা আক্তার । এখন ওই যুবক সুস্থ রয়েছেন বলে জানান রাশিদা আক্তার । তবে যুবকের সর্দি – কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে । এলাকাবাসী বিষয়টি দায়িত্বশীল বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোনে জানাচ্ছেন । ওই যুবক করােনায় আক্রান্ত হয়েছে এমনটি ভেবে তারা রীতিমত কানাঘুসাে শুরু করেছেন ।

এমনকি আতঙ্কে কেউ ওই বাড়ির আশপাশেও যাচ্ছেন না । তবে স্বাস্থ্যকর্মী রাশিদা আক্তার বলেন , ওই যুবক এখন সুস্থ । এদিকে ভারত থেকে এক দম্পতি তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে একই উপজেলার হরিদাসকাঠি  লেবুগাতী গ্রামে বেড়াতে এসেছেন কয়েক দিন আগে । তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা এলাকাবাসী বলছেন । কিন্তু তারা অবাধে চলাফেরা করছেন । একপর্যায়ে তাদের শিশু সন্তানটি ঠান্ডা জ্বর আক্রান্ত হলে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । স্থানীয়রা বলছেন , হাসপাতালে ফোন করে জানানাে হলে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী এসে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে যান । কিন্তু তারা মানছেন না । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা . শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন , কোদলাপাড়ার ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে । আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই । আর হরিদাসকাঠির লেবুগাতির জরে আক্রান্ত শিশুটির খোঁজ নিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা । তাদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে । এখন অবস্থা ভাল । শিশুটির বাবা – মা কোয়ারেন্টাইন নিয়ম না মানলে পুলিশের মাধ্যমে মানাতে বাধ্য করা হবে । এই পর্যন্ত মণিরামপুরে ২০৭ জন প্রবাসী কে  কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন প্রশাসন । ইতিমধ্যে  দুই জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button