রাজনীতিলিড নিউজ

ওমর ফারুক, সম্রাট ও মোল্লা কাওছারকে টোকাই বললেন মির্জা আব্বাস

কণিকা রিপোর্ট:

ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বাদ পড়া ওমর ফারুক চৌধুরী, সম্রাট এবং মোল্লা আবু কাওছারকে টোকাই বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ও আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।

সম্প্রতি রাজধানীর ক্লাবপাড়ায় অবৈধভাবে চলা ক্যাসিনোগুলোতে র্যা বের অভিযানের পরই বেরিয়ে আসতে থাকে থলের বিড়াল। ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ততায় নাম উঠে আসে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতাসহ রাঘব-বোয়ালদের নাম।

ক্যাসিনোকাণ্ডে ইতিমধ্যেই যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ওমর ফারুক চৌধুরীকে। এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় ক্যাসিনো গডফাদার সম্রাট, যুবলীগ নেতা খালেদ এবং জিকে শামীমকে। সর্বশেষ বুধবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় মোল্লা আবু কাওছারকে। এর মধ্যে সম্রাট, খালেদ ও জিকে শামীম গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে রয়েছেন।

এ দিকে রিমান্ডে অনেক রথী-মহারথীর নাম বলতে শুরু করেছেন বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাট। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাড়াও আওয়ামী লীগের শরিক দলেরও অনেকের নাম উঠে আসছে।

ভিআইপি তালিকায় এবার নাম এসেছে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের। তিনি প্রতি মাসে সম্রাটের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন।

ক্যাসিনোকাণ্ডে অনেক প্রভাবশালীদের নাম আসলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ওমর ফারুক, ক্যাসিনো সম্রাট ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে মোল্লা আবু কাওছারকে অপসারণ করা হয়েছে। জনগণ এ সব টোকাইদের অপসারণ চায় না।

যারা রাঘোববোয়াল রয়েছেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এ জন্য দেশের মানুষ সরকারকে ভালো চোখে দেখছে না। জনগণ চায় সরকারের অপসারণ।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান প্রমুখ।

সভায় সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শিরিন সুলতানা, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, হেলেন জেরিন খান, আবদুল আউয়াল খান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, দুলাল হোসেন, হায়দার আলী লেলিন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button