আন্তর্জাতিক

নেতৃত্বের আসনে গ্রেটা থানবার্গকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা

সুইডিশ বংশোদ্ভূত দুনিয়া কাঁপানো জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থানবার্গের বক্তৃতা শুনতে শুক্রবার বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হয়েছিলেন তিন সহস্রাধিক মানুষ। এদিন সেখানকার জলবায়ু আন্দোলনের নেতৃত্বের আসনে গ্রেটা থানবার্গকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীসহ সমবেত মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে তার সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন তারা।

এর তিনদিন আগে থেকেই স্থানীয় জলবায়ু অধিকার সংগঠনগুলো এবং স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট ম্যাসিমো বিগার্স আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। থানবার্গের ভূমিকায় অনুপ্রাণিত হয়ে ১৫ মার্চ থেকে ওই এ কর্মসূচি পালন শুরু করে আইওয়া সিটি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী বিগার্স।

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকার দাবিতে ২০১৮ সালে সুইডেনের পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন স্কুল শিক্ষার্থী গ্রেটা থানবার্গ। তার এই অবস্থানের মধ্য দিয়ে দুনিয়াজুড়ে বেগবান হয় জলবায়ু আন্দোলন। তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে এই আন্দোলনে শামিল হয় লাখ লাখ মানুষ। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ আয়োজিত এক সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনরোধে বিশ্বনেতারা যথাযথ ভূমিকা রাখছেন না অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তোলেন এই জলবায়ুকর্মী।

থানবার্গকে আইওয়া-র আন্দোলনে নিয়ে যেতে বিগার্সকে গত শুক্রবার প্রস্তুতির অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। শহরে সবাইকে একত্র করতে পারা সত্যি অলৌকিক কাজ ছিল।’

থানবার্গ বলেন, ‘আমি ভাবি না যে, আমাদের মধ্যে কেউই এই এতো লোকের প্রত্যাশা করেছিল। সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে কর্মব্যস্ত দিনে এতো মানুষের সমাগম সত্যি আমাদের আশা জাগায়। এটা সত্যি আমাকে আশান্বিত করে।’

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে সিটি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে কাজ করছেন বিগার্স। গত ছয় মাস ধরে এ কাজে শিক্ষার্থীদের গতিশীল করতে কাজ করেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল স্কুল বোর্ডে জলবায়ু রেজ্যুলেশন পাস করানো। এ কারণে আমরা সিটি কাউন্সিলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টা করছি।’

আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার করে। একে লক্ষ্য করে এদিন আন্দোলনকারী শ্লোগান দেয়, ‘কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধ কর।’

আইওয়ার অ্যাঙকেনি থেকে আসা নবীন আন্দোলনকর্মী আবে জর্দাল বলেন, ‘বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হয়ে এই মঞ্চে বিশ্ব নেতাকে (গ্রেটা) দেখতে পাওয়া সত্যি বিস্ময়কর। সত্যি বলছি আমি যখন পড়ছিলাম গ্রেটা আইওয়াতে আসছেন, আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না!’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button