রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

ধুনটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আরো ১জন গ্রেফতার

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ  বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় রাকিব হোসেন (২৮) নামের আরো ১জন গ্রেফতার হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নওগাঁ জেলা শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে পেশায় পরিবহন শ্রমীক ও ধুনট উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা রশিদ মন্ডলের বাড়ি থেকে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। পার্শ্ববর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের অফফের আলীর ছেলে বকুল হোসেন (২৩) এর সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রীর নানা রশিদ মন্ডল হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হলে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও প্রেমিক বকুল হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলা চলাকালীন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ সন্তানসহ স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী সেভহোমে রাখেন। অন্যদিকে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারী রশিদ মন্ডল ও বকুল হোসেনকে গ্রেফতার করে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় সনাক্ত করতে রশিদ ও বকুলের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। তাদের ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় মেলেনি। পরিবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে স্কুলছাত্রী পুনরায় ঘটনার সাথে জড়িত রাকিব হোসেন নামের এক পরিবহন শ্রমীকের নাম প্রকাশ করে। গত শুক্রবার রাতে নওগাঁ জেলা শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে পরিবহণ শ্রমীক রাকিব হোসেন কে গ্রেফতার করে।

ধুনট থানার এসআই প্রদীপ কুমার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব হোসেন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ধুনট থানা থেকে তাকে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীর সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় সনাক্ত করতে রাকিবের ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচর্জ (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, মামলার আগের ২ আসামী বকুল হোসেন ও রশিদ মন্ডলের ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের জন্ম পরিচয় মেলেনি। গত শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া অপর আসামী রাকিব হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামীকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button