স্বাস্থ্য

প্রচণ্ড গরমেও ভোগাতে পারে ব্রঙ্কাইটিস

যাদের মধ্যে অল্পতেই ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবনতা বেশি, অতিরিক্ত গরমে ঘাম গায়ে শুকিয়ে গিয়ে তাদের ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা বাড়তে পারে। যারা হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন, প্রচণ্ড গরমে তারাও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকে রেহাই পান না।

ব্রঙ্কাইটিস হলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ করার টিস্যুটি (ব্রঙ্কিয়াল ট্রি) সংক্রমণের ফলে ফুলে ওঠে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা ভাইরাসের কারণে হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। যে কোনো বয়সেই ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে। তবে বয়স্ক মানুষ বা শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ:

ঘন ঘন খুশখুশে কাশি হল ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে ব্রঙ্কাইটিস হলে কফের রং হলুদ বা ফিকে সবুজ হতে পারে। তবে ভাইরাসের প্রভাবে ব্রঙ্কাইটিস হলে কফের রং সাদা হতে পারে। ব্রঙ্কাইটিসে কফযুক্ত কাশি, জ্বর এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। হাঁপানি বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হলে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, পা, পায়ের পাতা বা গোড়ালি ফুলে ওঠা, বুকের ভেতর সাঁই সাঁই শব্দের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিকিত্সা ও প্রতিরোধের উপায়:

ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হলে সবার আগে সময় মতো চিকিত্‍সা শুরু করা প্রয়োজন। ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঠিক কত দিনের মধ্যে রোগী সেরে উঠবে, তা নির্ভর করে সংক্রমণ কতটা গুরুতর তার ওপর। ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হলে ওষুধের মধ্যে প্রধানত অ্যান্টিবায়োটিকই দেওয়া হয়। তবে ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খুব একটা কাজে নাও আসতে পারে।

অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিসের ক্ষেত্রে সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণ কমে যায়। ব্রঙ্কাইটিসে ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা থেকে বিরত থাকুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আর চাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম। বাইরের ধুলাবালি থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে চলুন। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। পরিষ্কার জামা-কাপড় ও চাদর বালিশ ব্যবহার করুন।

ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে শুধু ওষুধের উপর নির্ভর না করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জীবনযাপন করা খুবই জরুরি। কারণ, ট্রান্স ফ্যাটের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেন অয়েল হার্টের জন্য ক্ষতিকর।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button