আইন-আদালত

কুড়িগ্রামের ডিসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দুপুরের পর : প্রতিমন্ত্রী

রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুপুরের পর কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রোববার সকালে প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে গত শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানাকে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনটা আমাদের কাছে আসবে। সেটা যাচাই করে একটা সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। একটা পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব। দুপুরের পর হয়তো যে সিদ্ধান্ত নেয়ার আমরা নিতে পারব।’

তিনি আরো বলেন, ‘লিখিত প্রতিবেদনটা গতকাল রাতেই আমাদের এখানে চলে আসার কথা, না আসলেও হয়তো সকাল সকাল চলে আসবে। আমি অফিসে যাচ্ছি।’ ‘এছাড়া টাস্কফোর্স ও মোবাইল কোর্ট আইনের ক্ষেত্রে সেখানে কোথাও কোথাও অসঙ্গতি আছে। কোনো কাজ প্ররোচণায় ঘটেছে কিনা। বিষয়গুলো কী জাস্ট দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব সেটা আগেই বলা যাবে না। কাউকে তো বিচারের আগে শাস্তি দিতে পারি না।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে তিন জায়গা থেকে তিন রকমের কথা আসবে। ডিসি এমন একটা পোস্ট কারো ক্ষোভ থাকবে, কারো রাগ, অসন্তুষ্টি থাকবে। কারো সন্তুষ্টি থাকবে। যার যে রকম প্রাপ্তি হয়েছে, সে সেভাবেই আচরণ করবে। যে যাই বলুক, আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব। সেটা করতে না পারলে তো আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমি আছি।’

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই ডিসি ক্ষুব্ধ ছিলেন বলেও জানিয়েছে আরিফুলের পরিবার।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button