রংপুর বিভাগসারাদেশ

আগামী মাসেই শেষ হচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লাইন বসানোর কাজ

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর চিলাহাটির সঙ্গে ভারতের হলদিবাড়ির রেল যোগাযোগ স্থাপনের অংশ হিসেবে পুরোদমে চলছে রেললাইন বসানোর কাজ। চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ অংশে কাজ শেষ হবে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা আপনমনে কাজ করে চলেছে। কারো দিকে তাকানোর কোন ফুরসত নেই তাদের। কেননা নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজটি শেষ করতে পারেনি। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে যাতে কাজটি শেষ করতে পারে সেজন্য শ্রমিকরা অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে কর্মরত আতিকুল নামের এক শ্রমিক বলেন, আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন হবে। আজিজার রহমান নামের আরেক শ্রমিক বলেন, আমরা নির্দিধায় অতিরিক্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়,ভারতের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার রেলপথ বসানো হচ্ছে। এছাড়া বসানো হবে ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপসহ মোট ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেলপথ। এ কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখন তারা ভারতের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় রেললিংক স্থাপন করবে। রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ হলে এই পথে ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে দার্জিলিং এর শিলিগুড়ির সঙ্গে ঢাকা ও মোংলা বন্দরের সরাসরি রেলপথ সংযোগ হবে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করা হবে। কাজ শেষ হলে প্রায় ৫৫ বছর পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার রেলপথ আবারও সরগরম হবে। তিনি আরও জানান, পুরো কাজ শেষ হলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে এ রেল লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের অংশের স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button