আন্তর্জাতিক

ভারতে থানায় তিন মুসলিম বোনকে নির্যাতন, অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত

ভারতের আসামে থানায় তিন মুসলিম নারীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এই তিন নারীর একজন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার পেটে লাথি মারায় গর্ভপাত হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তার বোন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম আজকাল ও ইন্ডিয়া টুডে।

রাজ্যটির দারাং জেলায় গত ৮ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটে কিন্তু প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। বুরহা পুলিশ স্টেশন অপহরণের অভিযোগে মিনুয়ারা বেগম, সানুয়ারা ও রুমেলা নামের তিন মুসলিম নারীকে গুয়াহাটির সিক্সমাইল এলাকা থেকে থানায় আনে।

বুরহা পুলিশ স্টেশনের অফিসার-ইন-চার্জ মহেন্দ্র শর্মা এবং এক নারী কনস্টেবল থানায় এই তিন বোনকে নির্যাতন করেন। তাদের কাপড় ছিঁড়ে দেয়া হয়। তাদের যৌনাঙ্গে হাত দেন মহেন্দ্র শর্মা। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারেন তিনি।

যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা এই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি সন্তানকে।  ১০ সেপ্টেম্বর দারাং জেলার ডিএসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মিনুয়ারা। অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে।

এতে বলা হয়, পুলিশকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাদেরকে বলে যে কোনও কথা বলবেন না। একপর্যায়ে মহেন্দ্র শর্মা আমার ও স্বামীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর আমাদের তিন বোনকে থানায় নিয়ে আসে

।আরও বলা হয়, থানায় আমাদের বড় ভাইয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আমরা তার বিষয়ে জানি না বলার পর শুরু হয় নির্যাতন। আমার দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বোনের পেটে লাথি মারার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপাত শুরু হয়। আমাদেরকে সাদা কাগজে সই করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই মহেন্দ্র শর্মা এবং নারী কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গেছে, ভুক্তভোগীদের ভাই অন্য ধর্মের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। অপহরণের মামলায় ভাইকে খুঁজে না পেয়ে তাদেরকে নির্যাতন করে পুলিশ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button