কেরানীগঞ্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারা কমপ্লেক্সে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কারাগার বর্তমানে সংশোধনাগারে পরিণত হয়েছে। কারাবন্দিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত পণ্যে নিজেদের শতকরা ৫০ ভাগ অংশীদারিত্ব রয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো কারাগারে এ সুযোগ সম্প্রসারিত করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। বন্দিদের ডাটাবেজ অনলাইনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে বন্দিদের ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কারাবন্দিরা এর সুফল পেয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “২০১৬ সালে নাজিম উদ্দিন রোডের ২২৮ বছরের পুরাতন কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। তখন মহিলা কারাগারের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় শুধুমাত্র পুরুষ বন্দিদের কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মহিলা বন্দিদের জন্য তিন শ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে।”
কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রথম বারের মতো এলপিজি স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। দেশের কারাগারের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে— প্রধানমন্ত্রী।
একই অনুষ্ঠানে নবনির্মিত ২০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ২০৪টি থেকে বাড়িয়ে ৪৩৬টিতে উন্নীত করেছে। আজ নতুন ২০টি ফায়ার স্টেশন চালু হলো। এ নিয়ে মোট সংখ্যা হবে ৪৫৬টি। ২০২১ সাল নাগাদ আরও ১১১টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু করা হবে। নতুন স্টেশনের পাশাপাশি জনবল সংখ্যা ছয় হাজার ১৭৫ জন থেকে ১৩ হাজার এক শ জনে উন্নীত করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখন ২০ তলা উঁচু ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজ পরিচালনা করতে পারে। আগামী বছর ২২ তলা ভবন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে।