জাতীয়রাজনীতিলিড নিউজ

‘চ্যালেঞ্জকে কিভাবে সুযোগে রূপান্তর করতে হয় বাংলাদেশ তা জানে’

চ্যালেঞ্জকে কিভাবে সুযোগে রূপান্তর করতে হয় বাংলাদেশ তা জানে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রথাগত খাতের বাইরে বিনিয়োগ করার জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে অংশগ্রহণ করতে চার দিনের সরকারি সফরে এখন ভারতে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ অধিকতর উদ্ভাবনশীল হয়ে এবং প্রযুক্তি গ্রহণ করার মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়েছে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। বাংলাদেশে প্রথাগত খাতের বাইরে শিক্ষা, হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগ করার বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের, বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনই সময়।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে কারও কারও উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তার নিবন্ধে বলেন, আমাদেরও অন্য অনেক দেশের মতো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা জানি কিভাবে চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করতে হয়। এ বছর আমাদের অর্থনীতি রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

আমরা ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের কাছাকাছি উপনীত হয়েছি। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি আকারে ১৮৮ শতাংশ বড় হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের আইনি সুরক্ষা, উদার আর্থিক প্রণোদনা, মেশিনারি আমদানিতে রেয়াত, অবাধ এক্সিট পলিসি এবং এক্সিটকালে লভ্যাংশ ও মূলধনের পূর্ণ প্রত্যাবাসন বিবেচনায় বাংলাদেশে এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ পরিবেশ বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশে ওয়ানস্টপ সেবা সংবলিত এক শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। ১২টি অঞ্চল এরই মধ্যে কাজ করছে। দুটি অঞ্চল ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত। বেশ কিছু হাইটেক পার্ক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত, পশ্চিমে চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যস্থলে অবস্থিত হওয়ায় একটি নির্বিঘ্ন অর্থনৈতিক স্থান হিসেবে বাংলাদেশের বৈশ্বিক ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণের সুবিধা রয়েছে। ‘আমরা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করতে পারি। আমাদের নিজেদের ১৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ ছাড়াও বাংলাদেশ প্রায় ৩শ’ কোটি মানুষের সম্মিলিত বাজারের সংযোজক ভূখণ্ড হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর এইচএসবিসি ভবিষ্যৎ বাণী করে বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ: একটি হচ্ছে- আমাদের মুক্ত সমাজ, ধর্মীয় সম্প্রীতি, উদার মূল্যবোধ এবং ধর্ম নিরপেক্ষ সংস্কৃতি। অন্যটি হচ্ছে- আমাদের জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশই তরুণ। এদের অধিকাংশেরই বয়স ২৫ বছরের নীচে। তারা প্রতিযোগিতায় যুক্ত হতে প্রস্তুত রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button