রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

বগুড়ায় লকডাউন মানছে না বেশিভাগ মানুষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মধ্যেও লকডাউন কড়াকড়িভাবে মানছে না আনেকেই। নানা অজুহাতে ঘর থেকে বাহিরে আসছে মানুষ। অনেকেই বাজার করার নাম করে, আবার কেউ প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনার কথা বলে বাহিরে আসছে। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও এই সুযোগ নিচ্ছে। বগুড়া শহরের প্রধান মার্কেটগুলো ও বিপনীবিতান বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় হোটেল ও দোকানপাট রয়েছে খোলা। খোলা রাখার সুযোগ নিয়ে বাসি খাবার বিক্রির হিড়িক বেড়েছে।

শুক্রবার ছুটির দিন থাকার পরেও বগুড়া শহরে মানুষের ভিড় তেমন একটা না থাকলেও সারাদিনই মানুষ চলাচল করেছে। শহরের মধ্যে মাছের বাজার, সবজির বাজার বসানোর কারণে আরো বেশি বেড়েছে মানুষ। লকডাউনের মধ্যে হোটেল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকছে বেশ কিছু এলাকায়। শহরের ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকানপাট খোলা থাকছে রাত অব্দি। হোটেলগুলোতে বাসি দই ও ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।

এর সঙ্গে ঠনঠনিয়া এলাকায় ফুটপাত দখল ও পৌরসভার নির্মিত ড্রেন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে হোটেলের বাশি খাবার বিক্রি করছে। ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে দেখছেন হোটেল বন্ধ। অথচ হোটেলের শার্টার বন্ধ করে দিয়ে ঠনঠনিয়া বাস্ট্যান্ডের সামনেই বাশি খাবার বিক্রি হয়েছে শুক্রবার। শুক্রবার দোকানপাট খোলা ছিল কলোনী, বনানী, বাইপাসের তিনমাথা, চারমাথায় আংশিক দোকানপাট ও হোটেল খোলা ছিল।

এছাড়া শহরের চেলোপাড়া, সাবগ্রাম, মালতীনগর বকশিবাজার এলাকায় বেশ কিছু দোকান পাট খোলা ছিল। এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি গোটা জেলায় ৮৩ মামলায় ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল করেছে।

শহরে সকল মার্কেট, বিপনীবিতান বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গে শহরের পাড়া মহল্লায় প্রবেশের প্রধান প্রধান সড়কে বাঁশ, লাঠি ও বেরিকেট দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও স্থানীয়রা বাঁশ সরিয়ে দিয়ে চলাচল করছে।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জেলার ফতেহ আলী বাজারের মাছ বাজার ও কাঁচাবাজার স্থানান্তর করে জেলা শহরের নবাববাড়ি সড়কে নেওয়া হয়েছে। এই সড়কেই পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার বসবে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু সবজির দোকানও বসবে। জেলা শহরে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে বিশেষ টিম কাজ করছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়।

অপরদিকে মাটিডালি-মহিলা কলেজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানের কিছু দোকানপাট এবং হোটেল খোলা থাকলেও জন-সমাগম খুব স্বাভাবিক। অটো, সি এন জি, মোটর সাইকেল অবাধে চলতে দেখা যায়। এদিকে পুলিশি টহল দেখা যায়নি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button