জাতীয়

ঢাকায় এসে হেঁটে গন্তব্যে মানুষ

ঈদের শিথিলতা শেষে শুক্রবার ভোট ৬টায় শুরু হয়েছে ১৪ দিনের বিধিনিষেধ। এদিন ভোরে ঢাকায় পৌঁছে পরিবহন সংকটে পড়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।

লকডাউন শুরুর আগের দিন ভোলা থেকে লঞ্চে যাত্রা করে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে নামেন মো. সুমন নামে এক যুবক। সঙ্গে তার স্ত্রী, তিন সন্তান। বড় দুই সন্তান হাঁটতে পারলেও ছোট সন্তানকে কোলে নিয়েই ছুটছেন তার স্ত্রী। সুমনের হাতে বড় কয়েকটি ব্যাগ, গন্তব্য গাবতলী।

এদিন ভোরে ভোলা থেকে ঢাকার সদরঘাটে নেমে পায়ে হেঁটে ফার্মগেট পর্যন্ত এসেছেন জাকির হোসেন। তারা যাবেন নাখালপাড়া।

এমন অসংখ্য মানুষ ঈদ শেষে শুক্রবার ঢাকায় ফিরে কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই ছুটছেন গন্তব্যস্থলে।

মো. সুমন বলেন, “অনেকক্ষণ গাড়ির জন্য সদর ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোনো উপায় না পেয়ে পায়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে। এতে করে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ছোট ছোট তিনটি বাচ্চা আর ব্যাগ নিয়ে বাকি রাস্তাটুকু কীভাবে যাব বুঝতে পারছি না।”

জাকির হোসেন বলেন, “লকডাউন শিথিলের সময় আরেকটু বাড়ালে মানুষের ভোগান্তি এতটা হতো না। অনেক কষ্ট করে সবাইকে পায়ে হেঁটেই যার যার বাসায় যেতে হচ্ছে।”

যারা বিভিন্ন জেলা থেকে শুক্রবার সকালে ঢাকায় ফিরেছেন তারা কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। রাস্তায় মানুষের ভোগান্তি চোখে পড়ছে।

অপরদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কোনো যানবাহন নেই। রাস্তা একেবারে ফাঁকা। তবে দূরপাল্লার দুই একটি গাড়ি যাদের রাস্তায় দেরি হয়েছে সেগুলো ঢাকায় প্রবেশ করছে। সেই গাড়িগুলোকে আবার পুলিশ গাবতলীতে থামিয়ে দিচ্ছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্য রাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করে সরকার। শুক্রবার থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সরকারের পূর্ব ঘোষিত বিধি-নিষেধ অনুযায়ী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

এবারের বিধি-নিষেধ আরও কঠিন হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button