জাতীয়রাজনীতিলিড নিউজ

সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ ২২ অক্টোবর

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ২২ অক্টোবর জনসমাবেশ ডেকেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পাশাপাশি এ হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিও নেয়া হবে। বুধবার জোটের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, এই গণস্বাক্ষর অভিযান দেশে-বিদেশে করা হবে। এটার ফরম্যাট কী হবে তা ফ্রন্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরে জানানো হবে।

বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, সমাবেশের অনুমতি না দেয়া মানে সংবিধানের লঙ্ঘন। এটা করলে দেশের মানুষের উচিত হবে এ সরকারকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া। ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের অবস্থা নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, দেশের মানুষও উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি অনেক রকমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে আবরার হত্যার ঘটনা। যেটা সবাই দেখেছে কীভাবে এটা ঘটানো হল। ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মেধাবী নিরীহ ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে- এটা জঘন্য ব্যাপার।

তিনি বলেন, এ ধরনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা আজ আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ঢাকায় আগামী ২২ (অক্টোবর) তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা জনসভা করব। যেখানে আমাদের ফ্রন্টের সবাই আসবেন বিস্তারিত বক্তব্য দেবেন। গত ১৩ অক্টোবর ফ্রন্টের ঢাকায় নাগরিক শোক র‌্যালি পুলিশ করতে দেয়নি। সে ক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভার অনুমতি আপনারা পাবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের তো করে যেতেই হবে। পারমিশন দেবে, না দেবে- আমাদের করে যেতেই হবে। দেখা যাক।

অনুমতি না পেলে কি করবেন- দ্বিতীয়বার একই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবস্থা বুঝে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমাদের কাজ আমাদেরকে করতেই হবে। তবে এটা জানা দরকার জনসভার অনুমতি না দেয়া মানে সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। সংবিধানে লেখা আছে- মৌলিক অধিকার আছে সভা-সমিতি করার, বক্তব্য দেবার। আর যদি এ ধরনের সংবিধান লঙ্ঘন করা শুরু করে আমি তো মনে করি, দেশের মানুষের তাদেরকে (সরকার) ঘাড় ধরে বের করে দেয়া উচিত।

এর আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই গণস্বাক্ষর ক্যাম্পেইনটা অনেকটা আমার বাবা (শাহ এএমএস কিবরিয়া) হত্যার প্রতিবাদের মতো। ‘রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর’- এই মডেলে তৈরি করা হচ্ছে এটা। আমরা এই গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এটা বড় ডিসপ্লে করব ঢাকা শহরসহ অন্য বড় বড় শহরে। এর দিনক্ষণ পরে আপনাদের জানাব। এ ছাড়াও বৈঠকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৮ অক্টোবর রাজধানীতে নাগরিক সমাবেশ করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ স ম আবদুর রব, সহসভাপতি তানিয়া রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ উর রহমান, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button