জাতীয়

রেড জোনের জন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধসমুহ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে তিনটি জোনে ভাগ করে লাল চিহ্নিত এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই রেড জোন ২১ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে রেড জোন পরিবর্তন করা হবে। প্রাথমিকভাবে রেড জোনের জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি করোনা নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বিষয়ক কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলেরিয়াসিস ইলিমিনেশন অ্যান্ড এসটিএইচ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. জহিরুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মল আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নম্বর আইন) এবং সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের অনুরোধক্রমে দেশের বিভিন্ন এলাকা কোভিড-১৯ রোগের ঝুঁকি বিবেচনায় লাল, হলুদ ও সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা ও তা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ। জনগণের ক্ষমতা আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলা সিভিল সার্জনের কাছে বিষয়টি অর্পণ করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।

রেড জোনের জন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ-

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত সময়ে কৃষি কাজ করা যাবে। গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে। তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করতে হবে।
  • কোনো ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবেন। রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়ি চলাচল করবে না।
  • সড়কপথ, নদীপথ ও রেলপথে জোনের ভেতরে কোনো যান চলাচল করবে না। তবে রাতে জোনের ভেতরে ও বাইরে মালবাহী নৌযান ও জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
  • প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত মুদি দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে শুধু হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। জরুরি প্রয়োজন হলেই বাজারে যাওয়া যাবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
  • আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন টাকা জমা ও উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএমের মাধ্যমে করা যাবে। তবে সীমিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।
  • এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। শনাক্ত রোগীরা হোম আইসোলেশন বা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকবেন।
  • শুধু মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মসজিদ ও উপাসনালয়ে শারীরিক দূরত্ব রেখে ইবাদত করতে পারবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button