খুলনা বিভাগসারাদেশ

সন্তানদের আহারের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন গৃহবধু ফাতেমা

ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি ঃ সন্তানদের আহারের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ফাতেমা (৩৫) নামের এক গৃহবধু। এদিকে সেই খাবারের অপেক্ষায় ছিল ফাতেমার ঘরে থাকা তিন ছেলে-মেয়ে। সারাদিন পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে নেমে আসে রাত মায়ের অপেক্ষায় কাটছিল তাদের প্রতিটি মুহুর্ত। সকাল থেকে পুরোটা দিন না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। অবশেষে পরের দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের কাছে সন্তানেরা জানতে পারে তাদের মায়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি বাড়ির পাশে অদুরে একটি ফসলের মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের নাজিরপুর খাঁ কান্দা গ্রামে। বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধুর মরদেহটি উদ্ধার করেন। আজ বৃহষ্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ ফরিদপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
গৃহবধূ ফাতেমা ওই গ্রামের হাসমত মাতুব্বরের মেয়ে ও একই গ্রামের আহম্মদ আলী মাতুব্বরের স্ত্রী। সে পেশায় দীনমজুর ছিল।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে, প্রতিদিন দীনমজুরী খেটে যা আয় রোজগার হয় তা দিয়ে বাজার সদাই করে বাড়িতে ফিরেন এবং সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। ফাতেমার মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। স্বামী থেকেও নাই কারন সে দীর্ঘদিন যাবত নিরুদ্দেশ হয়ে ছিল। এ ভাবেই চলছিল ফাতেমার কষ্টের জীবন-সংসার। গত মঙ্গলবার (১২/০১/২০২১) সকালে ফাতেমা প্রতিদিনের মত কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুজাঁখুঁজি করেন। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ঐ ফসলেরমাঠে কাজ শেসে বাড়িতে ফেরার সময় হটাৎ গন্ধ্য পায় চকের আশপাশে। একপর্যায়ে কচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ফাতেমার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাসটি উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক পিযুষ কান্তী জানান, প্রাথমিক ধারনা মতে ফাতেমাকে অজ্ঞাত কে বা কাহারা হত্যা করে তার লাশ চকের মধ্যে কচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়েছে। তার দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button