আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আর নেই !

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মারা গেছেন বলে দাবি করেছে রাষ্ট্র সমর্থিত হংকং টিভি। চ্যানেলটির উপপরিচালক এ খবর নিশ্চিত করেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও নিরপেক্ষ কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

এইচকেএসটিভি হংকং স্যাটেলাইট টেলিভিশনের একজন উপপরিচালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে তার এক কোটি ৫০ লাখ অনুসারীকে জানিয়েছেন ‘নিরেট উৎস’ থেকে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। গুজব রয়েছে কিম জং উনের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলছেন, অন্য অসুস্থতায় মারা গেছেন। তবে কোন ধরনের অসুস্থতায় কিমের মৃত্যু হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করেননি।

টেলিভিশন চ্যানেলটির ওই উপপরিচালক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন ভাতিজি। তবে কিম জং উন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এবং এ জন্য তাকে চিকিৎসা দিতে চীন মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে। ফলে কিম জং উনের মৃত্যুর এ খবর নিরপেক্ষ অন্য কোনো মাধ্যম থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে গতকাল শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চিকিৎসক দল পাঠিয়েছিল চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজ উইকের সাংবাদিকের কাছে পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কিম জং উনের রোগাক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের কাছে কোনো সঠিক তথ্য নেই।

সরকারি ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, কিম জং উন স্বল্প সময়ের মধ্যে তেমন কোথাও ভ্রমণে বের হননি। এমনকি উত্তর কোরিয়া সরকারের কিংবা সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো রদবদলও সম্প্রতি ঘটেনি।

তবে গত ১১ এপ্রিল সর্বশেষ জনসম্মুখে এসেছেন কিম জং উন। ওই দিন তার উপস্থিতির ভিডিও সরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল।  এদিকে গত সোমবার গুজব ছড়িয়ে পড়ে- হার্টের জটিল অপারেশনের পর কিম জং উনের অবস্থা গুরুতর। আর সেই দাবি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সংবাদপত্র ডেইলি এনকে।  সিএনএন এর এক প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়, কিম গুরুতর অসুস্থ। তবে বিষয়টি গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

সূত্র- হংকং টিভি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button