রংপুর বিভাগসারাদেশ

আবারো সৈয়দপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, ৬ লাখ টাকা জরিমানা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহীদ জহুরুল হক সড়কে (বিচালিহাটি) অবস্থিত  আগের ওই  ৩টি গোডাউন আবারো  অভিযান চালিয়ে এবার সাড়ে ২৬  টন ৫৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। উদ্ধারকৃত পলিথিন জব্দ করাসহ মজুদকরনের দায়ে ৩ জনের  ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধায়  র‌্যাব-১৩ সিপিসি-২,  পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম।  এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী, র‌্যাব-১৩ রংপুর শাপলা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার  সহকারী পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, রংপুর জেলা পরিবেশক অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী সাইফুদ্দিনসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, শহরের উল্লেখিত সড়কের ওই ৩টি গোডাউন মালিক সাবদার হোসেন, আব্দুর রশিদ ও ইমরান দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবসা করে আসছে গত মাসেই তাদের গোডাউনে আভিযান চালিয়ে ৫৬ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করাসহ প্রত্যেকে ১ লাখ করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে এবং ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয় । কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে তারা আবারও গুদামজাত করে দেদারসে  উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন বাজারজাত করা শুরু করে।
ঘটনার দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রমিজ আলমের  নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে  রশিদের  গোডাউন থেকে ৬ হাজার ২০০ কেজি , ইমারানের ৪ হাজার ৩৫০ এবং সাবদারের গোডাউন থেকে ১০ হাজার ৩৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে।  যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা।  নিষিদ্ধ পলিথিন গুদামজাত ও বিপনের দায়ে ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী অব্দুর রশীদের অনুপস্থিতে তার শেলক আবু বক্কর, সাবদারের অনুপস্থিতে তার ভাই শেখ আজহারুল এবং ইমারানের অনুপস্থিতে তার ভাই নাসিরুদ্দীনকে ২ লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের রায়  প্রদান করেন। এ ব্যবসা আর না করার প্রতিশ্রুতি এবং তাৎক্ষনিক জরিমানার টাকা দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর জেলার পরিদর্শক কাজী সাইফুদ্দীন উদ্ধারকৃত মালামাল জব্দ করে রংপুর অফিসে নিয়ে যান। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রমিজ আলম বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button