সারাদেশ

এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর হাসপাতাল ছাড়লেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে নিজের উপর নির্মম নির্যাতনের বিচার চেয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম।

এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাসায় চলে যান।

গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুলকে ধরে নিয়ে আসে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। পরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীনের নির্দেশে তাকে এনকাউন্টার দেয়ার চেষ্টা চালায় আরডিসি নিজাম উদ্দিন। একপর্যায়ে এনকাউন্টার না নিয়ে আবারও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাকে নিয়ে এসে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো হয়। নির্মম নির্যাতনের পর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাদকের মামলায় ১ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাকে জেলে পাঠায়।

এঘটনায় সংবাদ মাধ্যম ও স্যোসাল মিডিয়ায় তোলপাড়া শুরু হলে গত ১৫ মার্চ চাপের মুখে জেলা প্রশাসন থেকে তাকে জামিন দেয়া হয়। জামিন পেয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় আরিফুল।

এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীনসহ ৩ ম্যাজিস্ট্রেকে প্রত্যাহার করে নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

হাসপাতাল ছাড়ার সময় নিজের উপর নির্যাতনের বিচার দাবী করেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। এসময় তিনি তার সতীর্থ সাংবাদিকসহ দেশবাসী ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এঘটনায় গত শুক্রবার (২০ মার্চ) কুড়িগ্রাম সদর থানায় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কুড়িগ্রামের প্রত্যাহার হওয়া জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও রাহাতুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অজ্ঞাতনামা ৩৫/৪০জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এজাহার দাখিল করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button