সারাদেশ

এবার দক্ষিন বঙ্গের দিকে নেমেছে মানুষের ঢল

এবার দক্ষিন বঙ্গের দিকে নেমেছে মানুষের ঢল। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট দিয়ে শত শত যাত্রী পার হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকেই, সাথে বেড়েছে দক্ষিনবঙ্গগামী ছোট গাড়ির চাপ। শিমুলিয়া ঘাট থেকে চন্দ্রের বাড়ির নিকট প্রায় দেড় কিলোমিটার লাইন পড়ে গেছে ফেরি পারপারের অপেক্ষায় থাকা ছোট গাড়ির। তবে কী লোক জন ঈদের কেনা-কাটা করতে ঢাকা এসেছিল? নাকী সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। শত শত লোক এভাবে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হওয়ায় করোনা সংক্রামন বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা থেকেই গেলো। আশ শুক্রবার সকালে সরজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শত শত লোক ছুটছে দক্ষিনরঙ্গের দিকে। ফেরির অপেক্ষ পল্টুনের উপর দাঁড়িয়ে আছে হাজারো লোক।

যখনই কোন ফেরি আসছে, তখনই এসকল লোকজন হুমড়ি খেয়ে ছুটে ফেরিতে উঠতে। গাদাগাদি করে তারা ফেরিতে দাঁড়িয়ে পদ্মা পারি দিচ্ছে। লোকজনের চাপ এতোটাই বেশী যে, গাড়ী পর্যন্ত ঠিকমত ফেরিতে উঠতে পারছিলনা। ফলে দক্ষিনবঙ্গমুখী গাড়ির লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট ছোট গাড়ি বা প্রাইভেট কারের লাইন দেড় কিলোমিটার দূরে চন্দ্রের বাড়ির নিকট চলে গেছে। আবার যাদের একটু করোনায় ভয় আছে, তারা গাদাগাদিতে না গিয়ে দূরে ঘাটের পাশে দাড়িয়ে দেখছে ঘাটের অবস্থা। কী করবে, এভাবে গাদাগাদী করে ফেরিতে যাবে, না একটু হালকা হলে তার পর ফেরিতে উঠবে। করোনা ভয়ে এমনই চিন্তা ভাবনায় পড়ছে লোকগুলো। আবার যারা দক্ষিনবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে আসছে তারাও পড়েছে মহাবিপাকে। পল্টুনে অপেক্ষামান লোকজন ঠেলে গাড়ী ও ফেরি যাত্রীরা উপরের দিকে উঠতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটর সাইকেল ও উবারের অফলাইনের গাড়ীতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button