বরিশাল বিভাগসারাদেশ

কলাপাড়ায় ১৯৭ শিক্ষক পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:  করোনা ভাইরাসের কারনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কিন্ডার গার্টেন’র প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক পরিবার । এসব শিক্ষকদের বর্তমানে নুন আনতে পানতা ফুরোয় । কোন কোন শিক্ষক মন্তব্য করছেন, পেটে এখন পাথর বেঁধে থাকতে হচ্ছে। সরকার করোনা মোকাবেলা করতে গিয়ে প্রায় সকল ক্ষেত্রে প্রনোদনা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে । তারই ধারাবাহিকতায় কিন্ডার গার্টেন গুলোতে কিছু প্রনোদনা দিলে এসব শিক্ষক পরিবারের  কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো বলে মনে করেন এলাকার শিক্ষানুরাগীরা।
ভুক্তভোগী এসব শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রাথমিক স্তরের মোট ২১ টি কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। এসব শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে অন্ততঃ ১৯৭ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে দুই হাজার ৭২৪ জন। গত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস’র প্রকোপ দেখা দিলে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় । অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে দীর্ঘ সাত মাস অতিবাহিত হয়েছে । এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারী কোন বেতন -ভাতা
না থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন নিয়ে শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা হয় । বর্তমানে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বেতন আদায় হয়না। নেই কোন প্রনোদনা । ফলে এসব শিক্ষকদের পরিবার এখন  মানবেতর জীবন-যাপন করছেন । লোক লজ্জার ভয়ে এরা না পারছে মানুষের কাছে হাত পাততে পারছেনা। তাই এখন করুন দশায় দিন পার করছেন এসব শিক্ষকরা।
কলাপাড়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও অ্যালফাবেট
কিন্ডার গার্টেন’র পরিচালক মোস্তফা জামান সুজন  বলেন, করোনায় কেমন যেন থমকে
গেছে সব কিছু। চাওয়া-পাওয়ার জায়গাটাও গেছে বোবা হয়ে । সাধারন সম্পাদক সানজিদা আফরোজ সুমি বলেন, শিক্ষকদের বাসা-বাড়ীতে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টিও বন্ধ রয়েছে । তাই এ শিক্ষক পরিবার গুলো এখন
মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ।
এ্যালফাবেট কিন্ডার গার্টেন’র প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন রুবি বলেন, কিন্ডার
গার্টেন’র শিক্ষকদের অনেকেরই অন্য কোন আয়ের উৎস নেই । তাই এসব শিক্ষকদের প্রনোদনা খুবই জরুরী।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button