সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বকার নির্বাচন কর্মকর্তা
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে ফ্রি স্টাইলে চলছে আচরণ বিধি লঙ্ঘন। কোনো নিয়ম নিতির তোয়াক্কা করছেনা অধিকাংশ প্রার্থী। করোনাকালীন এ ভয়াভহ পরিস্থিতিতেও শোভাযাত্রা ও মিছিলসহ মনোনয়নপত্র দাখিল, প্রতীক পাওয়ার পূর্বেই গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা একেবারে নির্বিকার। এরকম চলতে থাকলে সামনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাাশ করছেন।
নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধিমালার চার নম্বর কলামে বলা হয়েছে প্রচারনার সময় কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করতে পারবে না। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় মিছিল কিংবা লোকসমাগম বিধিনিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতীক বরাদ্দের আগেই পাড়ায়-মহল্লায় চলছে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ । বিশেষ করে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে অধকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থী হাজার হাজার লোকের মিছিল ও মটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন নির্বাচন অফিসে। এতে এক ও দুই নম্বর রেল গুমটিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ শহীদ ডা: জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডা: শামসুল হক সড়ক, শেরে বাংলা সড়কে ব্যাপক যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারন লোকজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন ১৫ টি ওয়ার্ডেই অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এলাকায় হাজার লোকের উপস্থিতিতে সভা-সমাবেশে করছে। সমাবেশ শেষে তাদের সেখানে ভুড়িভোজও করানো হচ্ছে। প্রার্থীদের এভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অনেক সচেতন নাগরিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সৈয়দপুর সরকারী কলেজের সাবেক শিক্ষক হানিফ উদ্দীন বলেন, স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রার্থীদের আচরণবিধির বিষয়ে কঠোর হতে হবে। তা নাহলে নির্বাচনী পরিবেশও করোনা পরিস্থিতি উভয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য দ্বিতীয় ধাপে এ পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। ২২ ডিসেম্বর যাচাইবাছাই এবং ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন । এরপর দেয়া হবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ।