খুলনা বিভাগসারাদেশ

গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক উন্নয়ন সংস্থার আলোচনা সভা

যশোর প্রতিনিধি: যশোর কেশবপুর উপজেলার বসুন্তিয়া উন্নয়ন সংস্থা অফিসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মঙ্গলবার গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন  সংগঠনের  নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন  পরিদর্শক  পরিবার পরিকল্পনা ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের হোসনে আরা খাতুন।তিনি বলেন,নারীর অপুষ্টির ক্ষেত্রে ‘দ্বিগুণ বোঝা’ মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ। গত দশকে নারীর স্বল্প ওজন সূচকের হার ৩৪ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু একই সময়ে অতিরিক্ত ওজনের নারীর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে ৯ থেকে ২৪ শতাংশ হয়েছে।

এদিকে গর্ভধারণে সক্ষম নারীদের মধ্যে পুষ্টিহীনতায় ভোগা নারীর সংখ্যা কমলেও অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা বৃদ্ধির কারণে নারীদের অপুষ্টির সার্বিক পরিস্থিতি একই রয়ে গেছে। তাই নারীর অপুষ্টির ক্ষেত্রে ‘দ্বিগুণ বোঝা’ মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টির বিষয়টি এখনও অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বাল্যবিয়ে এখানে অতি সাধারণ ঘটনা, যা কিশোরী মেয়েদের পরিপুষ্ট হওয়া ব্যাহত করে।

বাংলাদেশে ২৯ শতাংশের মতো মেয়ে অপুষ্টিতে ভোগে। এটা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশে কিশোরী মেয়েদের সন্তান জন্মদানের হার বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়।

বাল্যবিয়ে ও গর্ভধারণ মা ও নবজাতক উভয়ের অসুস্থতা ও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ রকম গর্ভধারণের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কম ওজনের শিশুর জন্ম হয়, যেখান থেকে ওই শিশুর জীবনে পুষ্টিহীনতার চক্র শুরু হয়।

বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের গর্ভাবস্থা বা সন্তান প্রসবের সময় মৃত্যু ঝুঁকি ২০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ। আর ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের গর্ভাবস্থা বা শিশু জন্মদানের সময় মৃত্যু ঝুঁকি পাঁচগুণ বেশি।

আমাদের কিশোরী মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানেরও ঘাটতি থাকে। এখানে গড়ে অর্ধেক নারী রক্ত স্বল্পতায় ভোগে। রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী শ্বেত কণিকা কমে যায় এই সময়।

বডি ম্যাস ইনডেক্স বা বিএমআই হলো শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার। বিএমআই ১৮.৫ এর নিচে হলে পুষ্টিহীনতা আর ২৫ অতিক্রম করলে হয় স্থুলতার লক্ষণ।

উন্নয়ন সংস্থার স্বাস্থ্য সচেতনতা আলোচনা অনুষ্ঠানের  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এম কোরবান আলী নির্বাহী পরিচালক সেবা সমাজকল্যাণ  সংস্থা, উপস্থিত ছিলেন  এস এম শফিকুল ইসলাম  অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, এছাড়া অন্যান্যদের  উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংস্থার কর্মী  মোঃ জাহিদুল ইসলাম, কবির হোসেন, মোঃ নাইমুর রহমান,  প্রিয়াঙ্কা সরকার,  নিপা সরকার প্রমুখ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button