খেলা

জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের লড়াই

অনেক কিছু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু প্রথম টেস্ট বাঁচাতে হলে আরও অনেক কিছু করতে হবে তাদের। ভারত এখনো ১১৭ রানে এগিয়ে। বিশাখাপত্তমে তৃতীয় দিন শেষে সফরকারী দলের স্কোর ৮ উইকেটে ৩৮৫। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় দ্রত উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাগ্যাকাশে যে শঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছিল, ডিন এলগার ও কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতে তা অনেকটাই কেটে গেছে।

দ্বিতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৩৯। দুটি উইকেট নিয়েছিলেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একটি নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। স্পিনের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কাঁপন দেখে ভাবা যায়নি গতকাল তারা প্রত্যাঘাত শুরু করবে। অথচ বিশাখাপত্তমে গতকাল স্পিন ধরেনি এমন নয়। আসলে জাদেজা আর অশ্বিনের স্পিনকে কপিবুক ক্রিকেটে প্রতিহত করেছেন এলগার ও ডি কক। সেঞ্চুরি করেছেন দুজনই।

ওপেনিংয়ে নামা এলগার আউট হয়েছেন ১৬০ রান করার পর। কুইন্টন ডি কক খেলেন ১১১ রানের ইনিংস। এই দুজন ছাড়া ফাফ ডু প্লেসিস আউট হন ৫৫ রান করে। এই তিনজন ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলের আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান পাননি।

তৃতীয় দিন এলগার শুরু করেছিলেন ২৭ রানে। টেম্বা বাভুমার ছিল ২। গতকাল প্রথম সেশনে এই জুটি বেশিদূর যেতে পারেনি। ১৮ রান করা বাভুমাকে এলবিডবিøউর ফাঁদে ফেলেন ইশান্ত শর্মা। সফরকারী দলের চতুর্থ উইকেটের পতন হয়েছিল ৬৩ রানের মাথায়। অধিনায়ক ডু প্লেসিস যোগ দেন এলগারের সঙ্গে। পঞ্চম উইে কটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন তারা। তৃতীয় দিনে অশ্বিনের প্রথম শিকার ডু প্লেসিস।

ক্যাপ্টেন প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় ৯৪ রানে অপরাজিত এলগার। তার সঙ্গে যোগ দিলেন ডি কক। এর কিছুক্ষণ পরই অশ্বিনের বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এলগার। যা দেখে গ্রায়েম স্মিথ টুইটারে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত মানসম্পন্ন টেস্ট সেঞ্চুরি।’ আক্ষরিক অর্থেই মানসম্পন্ন। কেননা এলগারের সেঞ্চুরি চলতি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং মানকে অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে। সেঞ্চুরির পর আরও ৬০ রান করেন এলগার।

শেষ পর্যন্ত টেস্টে জাদেজার দুইশতম শিকারে পরিণত হয়েছেন। একটা রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। কোনো বাঁহাতি স্পিনারের এটা দ্রুততম ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক। মাত্র ৪৪ টেস্টে মাইলফলক ছুঁয়েছেন জাদেজা। শ্রীলঙ্কান অফস্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে ২০০ উইকেট নিতে ৪৭ টেস্ট খেলতে হয়েছিল।

এলগার যখন আউট হন তখন প্রায় নব্বই ছুঁই ছুঁই স্কোরে অপরাজিত ডি কক। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট যেভাবে নিজের অপরিহার্যতা বোঝাতেন গতকাল ডি ককও তেমনভাবে নিজেকে মেলে ধরেন। ফলে ফলোঅন এড়াতে শেষ পর্যন্ত বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

এই টেস্টে এলগারের মতোই অশ্বিনের বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেন ডি ককও। অশ্বিনই শেষে তাকে বোল্ড করেছেন। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন বোলার। ২৭ বার টেস্টে ৫ উইকেট নিলেন অশ্বিন। ঘরের মাঠে ২১ বার হলো। ৩৯ টেস্টে এই অর্জন। ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ৪৫ বার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড মুত্তিয়া মুরালিধরনের। তা ৭৩ টেস্টে। অনিল কুম্বলে ঘরের মাঠে ৬৩ টেস্টে ২৫ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। রঙ্গনা হেরাথ ঘরের মাঠে ২৬ বার পাঁচ উইকেটে নিয়েছেন। তাকে ৪৯ টেস্ট খেলতে হয়েছিল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button