রংপুর বিভাগসারাদেশ

জলঢাকায় নিয়োগ বানিজ্যেসহ বিভিন্ন অভিযোগে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় এক কলেজে নিয়োগ বানিজ্যসহ না না অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষকে প্রায় ৬ ঘন্টা যাবৎ অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী।গত শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত তাকে ওই অবরুদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাকে ওই অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
জানা যায়, ওই উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের সদ্য এমপিও তালিকাভুক্ত হওয়া মিজানুর রহমান কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদুল আলম দুদু নিয়োগ দেয়ার কথা বলে এলাকার বহু লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। এছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষকে সরিয়ে ওই পদ দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টাকা নেয়ার পরও তাদের কলেজে নিয়োগ না দেওয়া এবং অন্যান্য অভিযোগে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী তার ওই অবস্থা করে।
মাহমুদ খাজা নামের এক চাকুরী প্রতাশী বলেন,ওই অধ্যক্ষ চাকুরী দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু পরে জানতে পারি বেশি টাকা নিয়ে ওই পদে অন্য একজন মনোনিত করা হয়েছে। তাই আমি আমার টাকা ফেরত নিতে এসেছি।
এ ব্যাপারে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবুল আলা চৌধুরী বলেন,সদস্যদের না জানিয়েই অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেন। শুনেছি নিয়োগের কথা বলে অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা নিয়েছেন। তাই যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তারা টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য ভিড় করেছেন।
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মফিজুর রহমান মোফা বলেন, ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজে তৎকালীন সাংসদ আলহাজ মিজানুর রহমান চৌধুরী বিধি মোতাবেক আমাকে ওই পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে চার দলীয় জোটের সমর্থক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে নানা অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন করে।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন বলেন, মাহমুদুল আলম দুদু নিজেকে অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়ায় লোকজন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আমি এবং প্রশাসনের লোক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাহমুদুল আলম দুদু প্রথমে সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে সবার সামনে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন,ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button