খুলনা বিভাগসারাদেশ
দৌলতদিয়ায় বন্ধ ফেরি, ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাত্রীদের নদী পার
রাজবাড়ী: ঝুঁকি নিয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে যাত্রীরা নদী পার হলেও নজরদারি নেই প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার অজুহাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে যাত্রী পার করছেন ট্রলার চালকরা।
সোম-মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরি ঘাটের পন্টুন থেকে যাত্রী বোঝাই করে পর পর বেশ কয়েকটি ট্রলার পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে দেখাগেছে। এ সময় ঘাট এলাকায় চোখে পড়েনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যদের এবং কোন বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই যাত্রীদের ডেকে ওঠানো হচ্ছে ট্রলারে। সেই সাথে মোটর সাইকেল পার করতেও দেখাগেছে।
জানাগেছে, ঘন কুয়াশার কারণে মধ্য রাত হতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। যে কারণে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয় দৌলতদিয়া প্রান্তে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারাপার হতে না পেরে, ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে নদী পার হচ্ছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। এ সময় জনপ্রতি ১শ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে সকাল ১০ টা থেকে পুনরায় শুরু হয় ফেরি চলাচল।
দৌলতদিয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাড়ির ওসি মোঃ মুন্নাফ জানান, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সার্বক্ষণিক ঘাট এলাকাসহ নদীতে টহল দিচ্ছি। মাঝে-মধ্যে আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হয় বলে কয়েকজনের কাছে শুনেছি। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যেন যাত্রী পারাপার করা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।’
কিন্তু এক্ষেত্রে এক ট্রলার চালক জানান, ‘মাঝে মাঝে আমাদের এখানে পুলিশ আসে। কিন্তু ট্রলার প্রতি ৫০০-১০০০ টাকা নিয়ে চলে যায়। এরপর সারাদিনে আর আসেনা। আমরা আমাদের মতো যাত্রী পারকরি আর যাত্রীরাও তো আসে। তারা আসলে আমরা পার করবো।’
এব্যাপারে কথা বলতে গেলে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ‘দৌলতদিয়া থেকে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের কোন সুযোগ নেই। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি।’