বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিস্ফোরিত ফোনটি ছিল অবৈধ!

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেনের বাসায় শুক্রবার ‘শাওমি এমআই এ১’ মডেলের একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণ হয়েছে। শাওমি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানিয়েছে, বিস্ফোরণ হওয়া শাওমি ফোনটি অবৈধভাবে দেশের বাজারে এসেছিল।

এ ব্যাপারে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী লিখিতভাবে গণমাধ্যমকে জানান, শাওমিতে পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা নিশ্চিত করি যে, আমাদের পণ্যগুলো সর্বোচ্চ মানে তৈরি কিনা তা নিশ্চিত করতে কঠোর মানের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। তবে, অবৈধভাবে দেশের বাজারে যেসব পণ্য আসে সেগুলোর গুণগত মান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক থাকে না।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে আসা পণ্য কিনে থাকলে সেসব পণ্য ব্যবহারে অনেক সময় নানান দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে, সেক্ষেত্রে ওই পণ্যের ব্র্যান্ডকে দায়ী করা একেবারেই অনুচিত হবে। গতকাল বরিশালে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্ত করতে আমরা বরিশালের ওই ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং জানতে পেরেছি তিনি যে ফোনটি ব্যবহার করছিলেন তা অননুমোদিত ছিল। পণ্যটি নকল কিনা তাও খতিয়ে দেখতে আমরা আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যবহারকারীর সর্বোত্তম সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সবসময়ই অনুমোদিত পণ্যগুলো কিনতে অনুরোধ করে থাকি। আমরা এটাও বলতে চাই, যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো সাধারণত অবৈধভাবে আসা ফোন কেনার অভ্যাসের কারণেই ঘটছে এবং সবার ঘটে যাওয়া এসব দুর্ঘটনা এড়াতে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হওয়া উচিত।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button