রংপুর বিভাগসারাদেশ

নাগেশ্বরীর সাপখাওয়ায় পুর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা লুটপাট

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: নাগেশ্বরীর সাপখাওয়াতে পুর্ব শত্রুতা ও জমিজমা, অর্থ সংক্রান্তের জের ধরে সেবা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রবিউল আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর করে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী  সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া এলাকার “সেবা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড” সভাপতি রবিউল আলমের সাথে আরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও অর্থ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রবিউল আলমের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক শালিস বৈঠক বসে। শালিসে বিরোধ বিষয় আপোসের এক পর্যায়ে আসলে স্থানীয় মাতব্বরদের সিদ্ধান্তে জমি রেজিস্ট্রারের জন্য মোক্তার কে শালিসে ফোনে আসতে বলা হয়। কিন্তু মোক্তার আসার পুর্বেই ঘটনাস্থলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলাম পুর্ব পরিকল্পিতভাবে রবিউল আলমকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করলে তার সাথে নুর ইসলাম মাস্টার, উমর আলী, আতাউর রহমান, আব্দুল হক, সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম, হান্নানসহ ১০থেকে ১৫জনে মারধর করেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারধর চলাকালীন চেয়ার, টেবিল আলমারীসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে সমিতির আদায়কৃত, জমাকৃত ও ব্রাক থেকে ঋণ নেয়া প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সমিতির কার্যালয়েে টাঙ্গানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ছবি বিলবোর্ডও মেঝেতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত রবিউল আলমকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেদিন রাতে রবিউল আলম বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন নাগেশ্বরী থানার এস আই মতিউর রহমান ঘটনা স্থলে তদন্ত করে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেও অদ্যাবধি পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেন নি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সমবায় সমিতিতে এসে রবিউল আলমের ওপর দুর্বৃত্তকারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট উধ্বতর্ন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সেবা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড সভাপতি রবিউল আলম বলেন, আরিফুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি আপোসের নামে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর করে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন বসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলামসহ তার সহযোগী নুর ইসলাম মাস্টার, উমর আলী, আতাউর রহমান, আব্দুল হক, সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম, হান্নানসহ ১০থেকে ১৫জন। আমি নাগেশ্বরী থানায় অভিযোগ করেও কোন বিচার পাই নি বরং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
নাগেশ্বরী থানার এস আই মতিউর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি।
কুড়িগ্রাম জেলা সমবায় অফিসার এস, এম, শহিদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button