সারাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি বিল থেকে হালিমা খাতুন(১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা বিল থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হালিমা উপজেলার একই ইউনিয়নের গাড়ফা মৎস্যজীবীপাড়ার হাছেন আলীর মেয়ে ও গাড়ফা দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এঘটনায় এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস জানান, লাদেনের সাথে হালিমার প্রেমের কথা শোনা যায়। কিন্তু লাদেন প্রায় ছয় মাস আগে বিয়ে করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ৩টি মোটিভকে সামনে নিয়ে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে এটি রহস্যজনক হত্যাকান্ড বলে মনে হয়েছে। তবে এখন হত্যাকান্ডটি ডিটেক্ট করা যায়নি। তিনি জানান, হালিমা অভিমান করে গাফড়া বিলের মধ্যে তার মামাতো বোনের বাড়ীতে এলে তার শরীরের পরনের কাপড় ভেজা থাকার কথা। কিন্তু তার পরনের কাপড় শুকনো ছিল। আবার, মামাতো বোনের বাড়ীতে এসেও যদি আত্মহত্যা করলে তার শরীরে চিহ্ন থাকার কথা। কিন্তু তার শরীরে কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে অন্য কোন জায়গায় অন্য কেউ হালিমাকে হত্যা করে বটগাছের ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে এমনটাও ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একই গ্রামের প্রতিবেশী মুসার ছেলে লাদেন হালিমাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় রাত ১০ টার দিকে হালিমার খোজ শুরু করে তার পরিবার। এরই মধ্যে রাত ১১টার দিকে গাড়ফা বিলে মফিজের বাড়ীর পাশের বট গাছের নিচে হালিমার মরদেহ পাওয়া গেছে বলে লাদেন চিৎকার করে সবাইকে বলতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে হালিমার মরদেহ সনাক্ত করে। পরে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।