সারাদেশ

প্রতিপক্ষের উপর হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটপাতের অভিযোগ

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে চাঁদড়া গ্রামে মামলা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষে উপর হামলায় ৭টি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে ১৪ মে থানায় অভিযোগ হয়েছে।

কেশবপুর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদড়া গ্রামে বিভিন্ন বিষয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ ও আদালতে মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটী গ্রামের মহির উদ্দীন, তৌহিদ, রেজোয়ান, আব্দুল বারিক, আব্দুল করিম, হারুন, কামাল উদ্দীন, তরিকুল, মোসলেম, সোহাগ হোসেন ও ফজলু এবং কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ, খলিল, আলাউদ্দীন, ইব্রাহীম, আব্দুল মজিদ, আব্দুস সামাদ, ইসমাইল, ইব্রাহীম. হাসাইন, ফয়সাল, আব্দুর রহিম-সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জন বে-আইনীভাবে সংগবদ্ধ হয়ে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, ধারালো গাছি দা, শাবল-সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে  বিকাল সাড়ে ৩ টায় প্রতিপক্ষ তোফাজ্জেল মোড়লের পূত্র লিটন মোড়লের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা চালায়।

হামলায় লিটন (৩৮), পিতা তোফাজ্জল হোসেন (৫৫), ভাই রুবেল (২৮), ভাইয়ের বৌ আঞ্জুয়ারা বেগম (২৪), অন্তস্বত্তা চাচাতো বোন সোনিয়া খাতুন (২০), চাচা বদর উদ্দীন (৫৭), চাচাতো ভাই ওলিয়ার (২৬), চাচাতো ভাবি হামিদা বেগম (২১), চাচা নজরুল ইসলাম (৫০), চাচী ফেরদৌসি বেগম (৪৫) চাচাতো ভাই বাবুল (২৮) কে মারপিট করে আহত করে। হামলাকারীরা এসময় ৭টি বসত-বাড়ি ভাংচুর করে স্বার্নালংকার ও নগদ অর্থ লুটপাট করে হত্যার হুমকী দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ।

আহতাবস্থায় এলাকাবাসি তাদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এব্যাপারে লিটন মোড়ল বাদী হয়ে আসামীদের নাম উল্লেখ করে ১৪ মে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button