নির্বাচন করছি না, তবে নতুন নেতৃত্ব চাই: ফেরদৌস
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৫ অক্টোবর। আসন্ন ওই নির্বাচনে কোনো পদে কিংবা প্যানেল থেকে ‘ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন না’ বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের প্যানেল থেকে গত বছর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করে ২৬১ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছিলেন ‘খাইরুন সুন্দরী’ ছবির এই নায়ক। তবে, জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র অভিনেতা এবার নির্বাচন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফেরদৌস বলেন, আমি নির্বাচন করছি না। কারণ আমি মনে করি, নির্বাচন না করেও, শিল্পী সমিতির কমিটিতে না থেকেও শিল্পীদের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা যায়। তিনি বলেন, আমি কোনো দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছি না। দায়িত্ব নিলে যেভাবে সময় দিতে হয়, আমি তা পারবো না।’
জানা গিয়েছিল, মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে বেরিয়ে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর প্যানেলকে সমর্থন দিচ্ছেন ফেরদৌস। এও শোনা গিয়েছিলো, মৌসুমীর সঙ্গে তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, আমি সবসময় ইসিতে থাকি। এবারও ঠিক করেছিলাম ইসিতেই থাকবো। কোনো ভাইটাল পদে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের সময় দেশের বাইরে একটা কাজের শিডিউল দেয়া রয়েছে আমার। ভোটের সময় দেশে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। তাই কোনো প্যানেল থেকে নির্বাচন করছি না।
আলাপকালে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে চিত্রনায়ক ফেরদৌস তার চাওয়ার কথা জানালেন। বললেন, আমার চাওয়া থাকবে নতুন কোনো গ্রুপ ক্ষমতায় আসুক, যারা এর আগে কখনই ক্ষমতায় ছিল না। সমিতিতে নতুন নেতৃত্ব আসুক। তাহলেই আমরা সবকিছুতে নতুনত্ব পাবো। অন্যথায় একই রকম নেতৃত্ব আবার ক্ষমতায় এলে মনোটোনাস (একঘুয়েমি) লাগবে।
প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকবেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে আবার একসঙ্গে প্যানেল দিয়েছেন মিশা সওদাগর (সভাপতি) ও জায়েদ খান(সেক্রেটারি)। এই প্যানেলে থাকছেন নিপুণ (ইসি), অরুণা বিশ্বাস (ইসি), ইমন (আন্তর্জাতিক সম্পাদক)।
অন্যদিকে, মৌসুমীকে সভাপতি রেখে তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে একই প্যানেলে থাকছেন ডিএ তায়েব। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন খল অভিনেতা শিবা শানু।