ইউক্রেনে অভিযান শুরু পুতিনের, বিভিন্নস্থানে বিস্ফোরণের শব্দ
পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য এমন ঘোষণা দিয়েছেন বলে দাবি করছেন তিনি। এপি নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
এপি নিউজ বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন থেকে আসা হুমকির প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার ইউক্রেন দখল করার কোনো লক্ষ্য নেই বলেও দাবি করছেন তিনি।
এদিকে, সিএনএন-এর সরাসরি সম্প্রচারে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণ শোনা গেছে।
পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র রেখে ‘বাড়িতে ফিরে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বলেছেন, বিশ্ব রাশিয়াকে এ জন্য দায়বদ্ধ করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার গভীর রাতে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার কোনো হামলা ‘ইউরোপীয় মহাদেশে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা করতে পারে। ’ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, রাশিয়া হামলা চালালে ‘আমরা আত্মরক্ষা করব। ’
ইউক্রেন বুধবারই ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা টুইট করে বলেছেন, ‘পুতিন সবেমাত্র ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেছেন। ’ তিনি প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, ইউক্রেন ‘আত্মরক্ষা করবে’। ‘বিশ্ব পুতিনকে থামাতে পারে এবং অবশ্যই থামানো উচিত। ’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ এরই মধ্যে অনেক প্রাণহানি হয়েছে’।
ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বেপরোয়া হামলার’ নিন্দা করেছেন। এক টুইট পোস্টে তিনি বলেছেন, এটি ‘অগণিত বেসামরিক জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। …এটি আন্তর্জাতিক আইনের এক গুরুতর লঙ্ঘন এবং ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। ’ তিনি জানান, রাশিয়ার ‘নতুন আগ্রাসন’ মোকাবেলায় ন্যাটো মিত্ররা বৈঠকে বসবে।