সারাদেশ

রৌমারী শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত

বন্যার পানির তোড়ে রৌমারী শহররক্ষা বাঁধের ২০ মিটার অংশ ভেঙে বুধবার রাতে নতুন করে ১০টি গ্রামসহ রৌমারী উপজেলা পরিষদ ও রৌমারীবাজার প্লাবিত হচ্ছে।

এতে করে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। রাজীবপুর উপজেলা পরিষদসহ পুরো উপজেলা শহরও পানিতে ডুবে গেছে।

এদিকে, কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ধরলার পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১০১ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৬০ ইউনিয়নের ৫২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, বুধবার সকালে চিলমারীর মাছাবন্ধা গ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে রাকু মিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত দু’দফা বন্যায় ১০ শিশু, যুবক ও দুই বৃদ্ধসহ ১৩ জন পানিতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, জেলার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়ক, রৌমারী-তুরাসড়ক, সোনাহাট-মাদারগঞ্জ সড়ক, ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট সড়ক ও ভিতরবন্দ-মন্নেয়ারপাড় সড়কের কিছু অংশ পানিতে ডুবে গেছে।

এছাড়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় বেশিরভাগ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। স্রোতের টানে অনেকের ঘরবাড়ি ও মালামাল ভেসে যাচ্ছে। উঁচু রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বানভাসিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিভাগ সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে ৪শ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ১৭০ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোতে উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা, ৪ হাজার শুকনা প্যাকেটের মধ্যে ২ হাজার প্যাকেট, ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ২ লাখ টাকার গো-খাদ্য উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button