লালপুরে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ভবন ভাঙ্গার অভিযোগ
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে সরকারি অনুমতি বা টেন্ডার কিংবা অকশন ছাড়াই উপজেলার পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনার ঝড়।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেলে সরেজমিন ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের দেওয়াল, বারান্দা ও খুঁটি ভাঙ্গা হচ্ছে। এ বিষয়ে শ্রমিকরা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাদের ভবন ভাঙার জন্য কাজে নিয়েছেন তাই তারা ভাঙ্গছে।
স্থানীয়রা জানায়, পুরাতন এ ভবনটি কয়েক বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এটা সরকারি সম্পদ টেন্ডার বা অকশন ছাড়া ভাঙ্গা সম্ভব নয়। তবুও কিসের জোরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভবনটি ভাঙ্গার অনুমতি দিয়েছে তা বলতে পারবো না।
সরকারি অনুমতি ছাড়া ভবন ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম জানান, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া পরিত্যক্ত ভবন ভাঙ্গা বা সেখান থেকে ইট নেওয়া যাবে না এটা জানা ছিলো না। শহিদ মিনার করার জন্য ভবনের কয়েকটি পিলার ভাঙ্গার প্রয়োজন তাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) রেজুলেশন করে তা ভাঙ্গা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, পুরাতন ভবন ভাঙ্গার আদেশের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ভালো জানেন, ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে আমার কাছে সরকারি লিখিত কোন আদেশ নেই, শহীদ মিনার নির্মানের জন্য যায়গা প্রয়োজন তাই রেজুলেশন করে ভবনের কয়েকটি পিলার ভাঙ্গা হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি কোন সম্পদ অনুমতি ব্যতিত ভাঙ্গা বা দখলে নেওয়ার সুযোগ কারো নেই, অনুমতি ব্যতিত সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এটা করতে পারেন না, অবশ্যই তদন্ত করে তাদের ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, সরকারি সম্পদ নিয়ম-নীতির বাহিরে ভাঙ্গার কোন সুযোগ নেই। আমি খবর নিয়ে দেখছি।