নীলফামারীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিনশ’র ঘরে
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে করোনা ভাইরাস রানের গতি বাড়িয়েই চলেছে। এ পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি লোককে আক্রান্ত করেছে। দুর্বল ফিল্ডিং ও বোলিং অর্থাৎ প্রশাসনের তৎপরতার অভাব এবং লোজজনের স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারনেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়ছে বলে সচেতন লোকজনের অভিমত।
গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে আরো ৭ জন। মঙ্গলবার (২৩ জুন) পর্যন্ত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩০৫ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছে ৬ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সুত্র হতে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৩০৫৪ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হলেও ফলাফল পাওয়া গেছে ২৫২৬ জনের। এদের মধ্যে উল্লেখিত সংখ্যক রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত সদর ও জলঢাকায় ২ জন করে এবং সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জে ১ জন করে মারা গেছে। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৫৮ জন।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিভাগ ওই জেলাকে রেডজোন হিসেবে ঘোষনা করেছে। প্রতিদিন যে হারে সংক্রমন বাড়েছে তাতে করে এ জেলায় চিত্রটা ভয়াবহ। স্থানীয় সচেতন মহল আতঙ্কিত ও সংকিত হলেও প্রশাসনের চোখে পড়ার মত নেই কোন তৎপরতা। করোনার গতি থামাতে আর কোন কার্যক্রমই সচল নেই জেলায়। সেই সুযোগে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট ও দোকান-পাটে লোকজনের চলাফেরাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার যেন কোন বালাই নেই। এমনকি অধিকাংশ লোজনই মাস্ক ছাড়ায় চলাফেরা করছে । এছাড়া ৪ টার পর সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও কিছু ব্যবসায়ী তা মানছেন না। হোটেল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রেখে বেচা-বিক্রি করা হচ্ছে। হটাৎ দুই একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রশসসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি সচেতন মহলের। নীলফামারী জেলার সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুল হক বলেন, পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আগেই করোনার গতি থামাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে এর ভয়াবহতা সকলের জন্যই বেদনাদায়ক হতে পারে।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন সকলকেই স্বাস্থবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে শধুমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মহামারি ওই রোগটিকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।