স্বাস্থ্য

হেডফোন ব্যবহারে সাবধান…

যখনই সুযোগ পান, তখনই কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখেন বা গান শোনা শুরু করে দেন। বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল, রিকশা কিংবা রাস্তায় হাঁটার সময় হেডফোন ব্যবহার করেন অনেকেই। বর্তমানে এই ধরনের আচরণ কম-বেশি সবাই করে থাকেন। কিন্তু জানেন কী? কারণ, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে করলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন। তাই এখনই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে-

কানের ইনফেকশন:

হেডফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। কারণ এতে করে সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোনের মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।

শ্রবণে সমস্যা:

হেডফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। ফলে আজীবনের জন্য শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন আপনি। হাই ভলিউমে গান শোনা থেকে দূরে থাকুন।

অল্প সময়ের জন্য বধির:

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অতএব, আপনাকে এখন সতর্ক হতে হবে হাই ভলিউমে গান শোনার ব্যাপারে।

বাতাস প্রবেশে বাধা:

হেডফোন কোম্পানিগুলো এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্সের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। ফলে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে। বেশিরভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঝুঁকি থেকেই যায় অনেকাংশে।

মস্তিষ্কে প্রভাব:

হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। এক্ষেত্রে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ঝুঁকি বেশি থাকে। কেননা, সরাসরি কানের সঙ্গে মস্তিকের যোগাযোগ। তাই ব্যবহারকারীদের এখনই হেডফোন ব্যবহারে সর্তক হওয়া জরুরি।

কানে ব্যথা:

মাত্রাতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের জন্য অনেকেই কানের ব্যথা অনুভব করে থাকেন। কখনো কখনো কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button