সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে
অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া, কাজিরপয়েন্ট, ওয়েজখালি, ষোলঘরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি মেইনরোড হাটু সমান পানির নিচে। এতে প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার ২৭ জুন বিকাল ৪ টায় সুরমা নদীর সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে ৮.২৬ সেন্টিমিটার রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুরমার পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, যেভাবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে একইভাবে সুনামগঞ্জেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে সুনামগঞ্জে বন্যা হয়েই গেছে বলা যায়। তিনি জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হলে ওই বৃষ্টির পানি সুরমা নদীতে এসে পড়ে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব জানান, উপজেলার মেইন সড়ক হাফ মিটার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে বেহেলী ও ফেনারবাঁক ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত পচিঁশটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার মজুদ আছে বলে তিনি জানান।
সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুর, বিশম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার গ্রামীণ রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।