রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে ভূমি দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সেবাপ্রার্থীরা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সেবাপ্রার্থী ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতারা। মালিকানা সমস্যা থাকা সত্বেও জাল কাগজপত্র তৈরী করে জমি বেচাঁ-বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি একই জমি একাধিক ব্যক্তিকে দলিল করে দেয়া হচ্ছে । ভূমি অফিসে রয়েছে তাদের ব্যপক প্রভাব । খতিয়ান, খাজনা পরিশোধ, মিসকেস, খাস পুকুর ইজারা, হিয়ারিং ইত্যাদি এ দালালরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলায় ৫ শতাধিক ভূমি দালাল রয়েছে। জমি ক্রয়-বিক্রিয়ের বিষয়টি মূলত তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে । এসব দালালরা মূল্য বাড়িয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কাগজপত্র টেম্পারিং করে জমির ভূয়া মালিক দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমেও টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সারা জীবনের জমানো টাকা দিয়ে জমি কিনে অনেকেই নি:স্ব হয়ে পড়ছে। কাশিরাম বেল পুকুর ইউনিয়নের ভূক্তভোগী সুলতান মাহমুদ বলেন, দালালের মাধ্যমে সঞ্চয়ের টাকায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন পিডিবি অফিসের বিপরীতে ৫ শতক জমি ১২ লাখ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করি। সমপ্রতি প্রকৃত মালিকানা দাবী করে ওই জমিটি অন্য একজন দখল করে নিয়েছ্।ে আমি এখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা। অন্যদিকে এলাকার কিছু টাউট বাটপার এ ভূমি অফিসকেই একমাত্র রুটি রোজগারের মাধ্যম হিসেবেই বেছে নিয়েছে। উপজেলার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালাল না ধরে সরাসরি কোন সেবা প্রার্থী অফিসে গেলে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি। ব্যয় করতে হয় মূল্যবান সময়। এ কারণে কাজ উদ্ধারের স্বার্থে সাধারণ মানুষ দালালদের হাত ধরে ভূমি অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এরই মাধ্যমে ধীরে-ধীরে ডালপালা বেড়েছে দালালদের। ঘুষ-বাণিজ্যের বিষয়ে সবারই জানা তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। দালালি করে অনেকে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভূক্তভোগী জানান, ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা দালালদের ব্যবহার করে নিজেদের পকেট ভারী করছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম বলেন, দালালদের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button