রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে মধ্যরাতে নৌকা ও লাঙ্গলের সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৫,মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনকে  কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় দলের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে। এসময় করা হয়ছে  মটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ।  শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)  রাতে সাড়ে ১১ টায়  শহরের গোলাহাট এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই দিন উল্লেখিত সময়ে শহরের গোলাহাট দুই নম্বর আটকে পড়া পাকিস্থানী (বিহারী) ক্যাম্পে  আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের লাঙ্গল মার্কার সমর্থনে পথসভা শেষে ফেরার  পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাড়ির সামনে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় দুটি মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগসহ ২০ টি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ
ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হিটলার চৌধুরী অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির পৌর মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি জিপ গাড়ি ভাঙচুর করে ও তাঁর তিন কর্মীকে আহত করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙচুর করা হয়
সিদ্দিকুল আলম জানান, পরিকল্পিতভাবে হিটলার চৌধুরীর নেতৃত্বে অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়েছে। এসব মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি তাঁর পনের জন কর্মীকে আহত করা হয়েছে। তিনি হিটলার চৌধুরীর বাড়ির হামলার বিষয়টি ‘অপবাদ’ বলে দাবি করেন। তিনি আরও জানান ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন জানান, লাঙ্গলের প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী পথসভায়র বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ  করে। এতে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে ও
জাতীয় পার্টির কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে সেখানে তাদের ১০ জন কর্মী আহত হয়। এদের মধ্য ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকায় তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে উভয় পক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত মামলা করেনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে অভিহিত করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button