স্বাস্থ্য

দেশে করোনা গণসংক্রমণ পর্যায়ে পৌঁছেছে

সংক্রমণ বেড়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা না মানায় করোনার গণসংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর। কোয়ারেন্টাইনে রাখা গেলে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে থাকতো জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত রোগ শনাক্ত আর আক্রান্তদের চিকিৎসা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতেই ঘাটতি ছিল পরিকল্পনায়। তারা বলছেন,

# প্রথমেই বিমান চলাচল ব্লক ডাউন করে অথবা আক্রান্ত দেশে ১৪ দিনের মধ্যে ভ্রমণ করেছে এমন ব্যক্তি আটকে দিয়ে করোনা প্রবেশ রোধ করা যেতো। যদিও তখন বৈশ্বিক বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ সম্ভব ছিল না।

# তবে চীনে সংক্রামণের সময়ে উহান ফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে সাফল্য মিললেও ইউরোপসহ অন্যদেশ বিশেষ করে ইতালি ফেরতদের ক্ষেত্রে তা নিশ্চিত করা যায়নি।

# আবার হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হলেও তা নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয়নি।

তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিপদ এখন আরও একধাপ বেড়েছে।

খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকই বলছেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে। তিনি জানান, এসব মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম তৈরি রাখা হচ্ছে, বাড়ানো হচ্ছে পরীক্ষার পরিসর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা স্বীকার করছি বাংলাদেশে এরইমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে। আমরা মনে করছি, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের পরিসর অনেক বৃদ্ধি করা দরকার। যখন যেটা প্রয়োজন আমরা তখন সেটাই করব।

আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ তার। আর আইইডিসিআর এর কন্ট্রোল রুমের নম্বরের পাশাপাশি ৩৩৩ ও ১৬২৬৩ নম্বরে পাওয়া যাবে করোনা নিয়ে যেকোনো সেবা ও পরামর্শ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button