সারাদেশ

স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল টার্গেট শেখ হাসিনা -মজিবর রহমান মজনু

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। যারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল তারাই ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বারবার আওয়ামী লীগের উপর হামলা করেছে। বাংলাদেশে যত হত্যাযজ্ঞ ও জঙ্গী হামলা হয়েছে তার একটাও বিএনপি-জামায়াতের উপর হয়নি। এ থেকেই বোঝা যায় এদের পৃষ্ঠপোষক কে? বিএনপি-জামায়াত নামে সংগঠন মাত্র। এদেরকে চালায় পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা। বিএনপি-জামায়াতের যখনই মতের অমিল হয় তখনই অদৃশ্য সুতোর টানে আবার ঠিক হয়ে যায়। এই সুতোর টান হলো পাকিস্তান। খালেদা জিয়া এবং নিজামীরা তাদের এজেন্ট মাত্র। খালেদা জিয়ারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। জীবনে গ্রেনেড হামলাসহ ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল টার্গেট ছিলেন তিনি। ১৫ আগস্ট যারা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে হত্যা করতে পারেনি তারাই এই ২১ আগস্ট ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে সমূলে উৎপাটনের অপচেষ্টা করেছিল। আবার আজকে তারাই গণতন্ত্র-গণতন্ত্র বলে চিৎকার করে। যারা জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষক তাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলা দিবসের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক এস এম আইয়ুব, টি এম মুসা পেস্তা, আবুল কালাম আজাদ, এড. মকবুল হোসেন মুকুল, রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা, মঞ্জুরুল আলম মোহন, প্রদীপ কুমার রায়, এড. সাইফুল ইসলাম, এড. জাকির হোসেন নবাব, সুলতান মাহমুদ খান রনি, শেরিন আনোয়ার জর্জিস, এড. শফিকুল আলম আক্কাস, কামরুন্নাহার পুতুল, আনিছুজ্জামান মিন্টু, এস এম রুহুল মোমিন তারিক, এবিএম জহুরুল হক বুলবুল, মাশরাফী হিরো, আলরাজী জুয়েল, তপন চক্রবর্তী, আছালত জামান, এড. মন্তেজার রহমান মন্টু, আবু সুফিয়ান সফিক, ওবায়দুল হাসান ববি, অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন শেফালী, আলমগীর বাদশা, আব্দুস সালাম, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাজেদুর রহমান শাহীন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, এড. লাইজিন আরা লিনা, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, কাউন্সিলর মোস্তাকিম রহমান, রাশেকুজ্জামান রাজন প্রমুখ। এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয়, দলীয়, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ এবং সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button