সারাদেশ

দুদিনেও উদ্ধার হয়নি মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলার

চাঁদপুরে তিন নদীর মিলনস্থল মেঘনায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা সিমেন্টসহ মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা নাজমুল তানভীর পরিবহন নামে একটি ট্রলার প্রচণ্ড ঘূর্ণিস্রোতের মুখে পড়ে নদীতে নিমজ্জিত হয়েছে। ট্রলারে থাকা মাঝি বিল্লাল হোসেন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৩) ও মানিক (৪০) সাঁতরে পাড়ে উঠে প্রাণে রক্ষা পায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এ তিন নদীর মিলনস্থল শহরের পুরাণবাজার ট্রলারঘাট সংলগ্ন এলাকায় ট্রলারটি বিপরীত দিক থেকে ঘুরানোর সময় অপর একটি নৌযানের সাথে সংঘর্ষ লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে জাহাজ ও সিমেন্টসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জাহাজের মালিক বিল্লাল হোসেন বেপারী জানিয়েছেন।

ট্রলার মাঝি বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, ট্রলারটি  মুন্সীগঞ্জ থেকে ৪ হাজার ৫শ বস্তা শাহ সিমেন্ট নিয়ে চাঁদপুরের বাঘড়া বাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২ দিনেও ডুবে যাওয়া ট্রলার ও ট্রলারে থাকা সিমেন্ট উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে ট্রলার মালিক মো. বিল্লাল হোসেন জানান।

নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু তাহের খানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা আরোহীদের অন্য নৌযানের সহায়তায় উদ্ধার করে চাঁদপুর নৌ থানায় এনে আশ্রয় দেয়। তাৎক্ষণিক চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের খবর দিলে তারা এসে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্যে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। পরে তারা ডুবে যাওয়া ট্রলারের স্থান নির্ধারণ করলেও কোনো উদ্ধার তৎপরতা চালায়নি।

গতকাল শুক্রবার চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও ট্রলার মালিক বিল্লাল কর্তৃক ঢাকা থেকে আনা বেসরকারি ডুবুরিদের সমন্বয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ট্রলার মালিক জানান, আজ শনিবার বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ দ্রুত গতিতে চালানো হবে। দুর্ঘটনায় জাহাজ মালিক বিল্লাল বেপারী চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button