আন্তর্জাতিক

অশালীন মিম! তৃণমূলের অধ্যাপক নেতার বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ বৈশাখীর

তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মিম ছড়ানো হচ্ছে। তৃণমূলের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র এক সদস্যের বিরুদ্ধে লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করলেন মিল্লি আল আমিন কলেজের শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়ানো ওই মিমগুলিতে তাঁর সম্মানহানি ও চরিত্রহনন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগও তুলেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই শিক্ষিকা।

‘পলিটিকাস’ নামে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপে এই মিম ছড়ানো হয়েছে বলে বৈশাখীর নজরে এসেছে। ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু-সহ অনেকেই ওই গ্রুপের সদস্য। বৈশাখীর অভিযোগ, এই গ্রুপেই দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় এবং অংশুমান সাহা তাঁর বিরুদ্ধে এই সব মিম ছড়াচ্ছেন। যদিও তাঁর দাবি, দেবাশিসবাবু অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। অংশুমান দক্ষিণ কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজের শিক্ষক। কেউ মারা যাওয়ার পরও তাঁর নামে কী ভাবে মিম ছড়ানো হচ্ছে এবং কে ছড়াচ্ছে, তা তদন্ত করে বের করা এবং উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈশাখী। দু’টি ফোন নম্বরও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি।

লালবাজারের সাইবার সেলে জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের অফিসে দায়ের করা অভিযোগে বৈশাখী লিখেছেন, ‘এই ধরনের নারী বিদ্বেষী ও উগ্র মিম আমার যৌন হেনস্থার শামিল এবং এতে আমার সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার খর্ব হয়েছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘যখন আমার সিনিয়র এবং জুনিয়র সহকর্মীরা আমাকে এগুলো ফরওয়ার্ড করেছিলেন, আমি মর্মাহত ও আহত হয়েছিলাম। আমি নিজেও যেহেতু শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত, আমার চরিত্রহনন ও সম্মানহানি করতে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই এই ধরনের মিম ছড়ানো হচ্ছে।’ এর পরই তিনি উল্লেখ করেছেন, দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যু’র প্রসঙ্গ। সব শেষে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, এই ধরনের বিকৃত এবং যৌন হেনস্থাকারীদের হাত থেকে মহিলাদের বাঁচাতে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button