আন্তর্জাতিক

তিউনিসিয়ায় রাতে কারফিউ জারি করলেন প্রেসিডেন্ট

প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্নাহদা পার্টি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ এনেছিল। এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দেশটিতে রাতে কারফিউ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট সাঈদ।

সোমবার প্রেসিডেন্ট সাঈদ ইন্নাহদা পার্টির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেন। খবর আরব নিউজ ও আনাদোলুর।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সাঈদ বলেন, তিউনিসিয়া এবং তার নাগরিকদের রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল সেটিই নেওয়া হয়েছে।

এর পর মাসব্যাপী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট সাঈদ। এ সময়ের মধ্যে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। কারফিউ চলাকালে সড়কে বা উন্মুক্ত কোনো জায়গায় তিনজনের বেশি একসঙ্গে থাকা যাবে না।

এর আগে বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ।

রোববার প্রেসিডেন্ট সাঈদ জানান, নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তিনি নির্বাহী ক্ষমতাগ্রহণ করবেন।

এ ঘোষণার পর সোমবার পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা স্পিকারকে সংসদে প্রবেশ করতে দেয়নি।

তিউনিসিয়ার সংসদের স্পিকার রাশেদ ঘানুচি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছেন। আমি আশা করি এখনও প্রতিষ্ঠান টিকে আছে।

সংসদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে ঘানুচি বলেন, প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ অসাংবিধানিক, অবৈধ ও ভিত্তিহীন। সংসদ এখনও বহাল রয়েছে এবং সংসদের যে কাজ তা চলবে।

এর আগে করোনায় অর্থনৈতিক সংকট ও বেকারত্বের কারণে তিউনিসিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে বহু মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেন। তারা সংসদ বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button