চট্টগ্রাম বিভাগসারাদেশ

মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন

কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বরে সন্ধ্যা ৭ টায় সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অশ্বদিয়ার যে ছেলেটি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্থানিয় সকলেই জানে সে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত এবং গ্রেপ্তারও হয়েছে। আমার কাছে তথ্য আছে ঐ ছেলেটি মদ-জুয়া নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকে। তার মত ছেলে আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা একটা হাস্যকর বিষয়।
নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম ও সামসুদ্দিন জোহানের সহযোগিতায় এই মামলা করার দাবি করে মেয়র কাদের মির্জা বলেন, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ওদের হিংসা হচ্ছে। আমাদের সফলতা ওদের সহ্য হচ্ছে না তাই আমার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নারী কেলেঙ্কারীতে গ্রেপ্তার হওয়া ঐ ছেলেটিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা ভয় পাচ্ছে তাদের পদ আমি কেড়ে নেই কিনা, আমি স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছি আমার কোনো পদের লোভ নেই, আগামীতে আমি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে কোনো দায়িত্বে যাবো না, আমার পদ প্রয়োজন নেই, আমি আমার জনগণকে নিয়ে ভালো আছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কোম্পানীগঞ্জের সকল জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না, যে যাই করুক আমি আপনাদের সাথেই আছি, আপনাদের সাথেই থাকব। মানুষরুপী কিছু অমানুষ আছে এরা কখনো সামনে এসে কিছু বলে না, শুধু পিছন থেকে ষড়যন্ত্র করে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে করতে জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর সুধারাম থানার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন গত ২১ জানুয়ারি সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কোম্পানীগঞ্জ আমলী আদালতে ২৯৮/৫০০/৫০১ ধারায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও মানহানি মামলা করা হয় আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। মামলায় বলাহয় আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানিয় নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় মানহানি হয়েছে।
এছাড়াও সমাবেশ চলাকালিন আযান দেয়ায় ‘১০ মিনিট পর আযান দিলে কি হতো’ বলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button