সারাদেশ

বগুড়ায় এনজিও কর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

বগুড়ার কাহালুর উদ্দীপন এনজিওর কর্মী এসএম শাহরিয়ার (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ একই পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বরিশালের মুলাদী উপজেলার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাহালু থানায় প্রেস ব্রিফিংকালে অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- প্রধান আসামি রাজু আহম্মেদ (২৫), রাজুর বাবা আমজাদ হোসেন ওরফে ওসমান (৫২), মা মর্জিনা বেগম (৪৫) ও রাজুর স্ত্রী নাজমা বেগম (২৩)। ওই চারজনের বাড়ি বগুড়ার সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদীঘি গ্রামে। আসামিরা কাহালুর দামাই গ্রামের মিলু হাজীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

ব্রিফিংয়ে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) আহম্মেদ রাজিউর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এনজিও কর্মী শাহরিয়ার মোটরসাইকেল নিয়ে কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের শিকড় গ্রামে কিস্তির টাকা তুলতে যান। টাকা নিয়ে দরগাহাট বাজারের দিকে ফিরে আসার পথে মোটরসাইকেলসহ নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় উদ্দীপন এনজিও কাহালু শাখার শাখা ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম ওইদিন রাতেই কাহালু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরিপ্রক্ষিতে কাহালু থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে।

আহম্মেদ রাজিউর রহমান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে কাহালুর দামাই গ্রামের মিলু হাজীর বাড়ি থেকে এনজিও কর্মী শাহরিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাহরিয়ার স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদী থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে দুর্গম এলাকা থেকে বিকালে মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মামলার প্রধান আসামি রাজু আহম্মেদসহ অন্য আসামিরা টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য এনজিও কর্মী শাহরিয়ারকে টার্গেট করে। ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় দিকে রাজু তার ভাড়া বাড়িতে টাকা ও মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কৌশলে এনজিও কর্মী শাহরিয়ারকে ডেকে নেন। আসামিরা শাহরিয়ারকে মাথায় ভারী শীল দিয়ে আঘাত করে ও পরে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তার কাছ থেকে ৪৩ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেয়। তারপর আসামিরা শাহরিয়ার লাশ ভাড়া বাড়ির ঘরের ভেতরে গুম করে রাখে।

সহকারী পুলিশ সুপার বলেন,গ্রেফতারের সময় আসাসিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত, লুণ্ঠিত অর্থের মধ্যে ২১ হাজার ৭শ টাকা ও একটি নকিয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button