জাতীয়

কুয়েত কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে পাপুলকে

কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তাকে ২১ দিন কারাগারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেল।

সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার টাইমস কুয়েত ও আরব টাইমস অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অন্য অভিযুক্তদেরকেও কারাগারে রাখার ও একটি কোম্পানির মালিককে ২ হাজার দিনারের মুচলেকায় জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ৬ জুন মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কাজী পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের সিআইডির সদস্যরা। আটক করা হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মূর্তজা মামুনকে।

জানা গেছে, পাপুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে কর্মী নিয়োগ, রেসিডেন্সি আইনের লঙ্ঘন ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে। দেশটির তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তি আর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১২ বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী।

কুয়েতি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টানা ১৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কাজী পাপুল ঘুষ দিয়ে কাজ করানোর কথা স্বীকার করলেও অন্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাজী পাপুলকে বিভিন্ন সময় ঘুষের বিনিময়ে সহায়তা করেছেন এমন সাতজনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা; তাদের মধ্যে কুয়েতের দুইজন বর্তমান এবং একজন সাবেক এমপি রয়েছেন। তবে কুয়েতের বর্তমান দুই এমপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে কাজী পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির হিসাবে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা রয়েছে বলে সম্প্রতি কুয়েতি গণমাধ্যমে জানানো হয়। পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কুয়েতের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষও।

টাইমস কুয়েতের খবরে বলা হয়েছে, কাজী পাপুল ও তার স্ত্রী বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। কুয়েতে ক্লিনিং সার্ভিস এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি কোম্পানি চালান কাজী পাপুল। এসব কোম্পানিতে প্রায় ৯ হাজার কর্মী কাজ করেন। কুয়েত সরকারের বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কাজের চুক্তি রয়েছে তার কোম্পানির।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button