আগাছা বথুয়া শাকের অসাধারণ স্বাস্থ্য গুণ
অযত্নে বেড়ে ওঠা একটি আগাছা বথুয়া। জমির আইলে কিংবা আবাদি ফসলের ক্ষেতে নিজে নিজেই জন্ম নেয় এটি। আর তাই আলাদা করে চাষেরও প্রয়োজন হয় না। তবে এই আগাছাটিকেই আমরা চিনি শাক হিসেবে। বাজারে আঁটি দরে বিক্রি হয় বথুয়ার শাক। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে।
আগাছা হলেও কিন্তু এ শাকের গুণের শেষ নেই। এর ওষুধি গুণাগুণ পুরোপুরি জানলে হয়ত আপনি একে আর আগাছা বলবেন না। বরং বেশ গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে রাখবেন বথুয়ার শাক। চলুন তবে এর গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যায়:-
বথুয়ায় শাকে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। এটি অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যা দূর করে। বথুয়ার শাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ডায়াটারি ফাইবার মল নির্গমন প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
পেটের অসুখ সারাতে:-
পেটের বিভিন্ন অসুখ সারাতে দারুণ উপকারী বথুয়ার শাক। যাদের দীর্ঘদিন ধরে আমাশয়ের মতো রোগ রয়েছে, তাদের জন্য এ শাক খুবই কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া সারাতেও এটি দ্রুত কাজ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:-
এই শাকে রয়েছে পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের মতো উপাদান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। একই সাথে এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। আর তাই বথুয়ার শাক খেলে হার্ট ভালো থাকে। বিভিন্ন ধরনের হৃদপিণ্ডজনিত রোগ থেকে বাঁচায় এটি।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে:-
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ শাক বথুয়া। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি এটি কিডনি, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বথুয়ার শাক খেলে রাতকানা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
কোষের ক্ষয় রোধ করতে:-
বথুয়ার শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম, লোহা, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যা দেহ গঠনে সাহায্য করে। একই সাথে এটি দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করে ও কোষকলার সুস্থতায় সাহায্য করে।
কিডনি রোগ প্রতিরোধে:-
বথুয়ার শাকে রয়েছে ভিটামিন বি যা ত্বকের চুলকানিসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি দেহের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতে বেশ কার্যকর। এটি যকৃত ও কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে।
জানলেন তো আগাছা বথুয়া শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা। আজ থেকে তবে এ শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন।