জাতীয়

পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের খোঁজে ৬০ ব্যাংকে দুদকের চিঠি

বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে দেশি বিদেশি ৬০টি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজের স্বাক্ষর করা পৃথক চিঠি ৫৯টি ব্যাংকের এমডি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান নির্বাহী (বিএফআইইউ) বরাবর এসব পাঠানো হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বাড়ি ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতেই মূলত আলাদা চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে পাপিয়ার অঢেল সম্পদের হিসাব মেলাতে হোটেল ওয়েস্টিন ও রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডোম-ইনো বরাবর চিঠি দেয় দুদক। গত ২ মার্চ তলবি চিঠিতে ওইসব নথিপত্র ৮ মার্চের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। চিঠিতে হোটেল ওয়েস্টিন থাকা ও খাওয়ার বিলের কপি, বিভিন্ন সময় হোটেল বুকিংয়ের নথিপত্র এবং কার কার নামে রুম বুকিং করা হয়েছে, সেসব বিষয় সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এখনো পৌছায়নি।

বিদেশে অর্থ পাচারসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা ও বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ পাচার এবং কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, পাপিয়ার সম্পদ, সেসবের উৎস, ক্ষমতা, বিদেশে অর্থ পাচার সবই অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে। পাপিয়ার আশেপাশে যারা ছিল, তাদের দিকে গোয়েন্দা নজর রাখা হচ্ছে। তার সহযোগীরাও আইনের আওতায় আসবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button