জাতীয়

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

শনিবার রাত পর্যন্ত সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করছিল ৮০-র কোটাতেই। কিন্তু রবিবার সকালেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেল। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারতে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১০৭-এ। এর মধ্যে ১৭ জন বিদেশিও রয়েছেন।

এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র এবং কেরলের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী এ দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত, মহারাষ্ট্রে ৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ২২।

নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত এ দেশে দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। যে কারণে শুক্রবারই করোনা সংক্রমণকে বিপর্যয় বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে কেন্দ্র। কিন্তু তা নিয়ে ধন্দ শুরু হয়েছে। কারণ সরকারি ঘোষণার বয়ানে ওই চার লক্ষ টাকার কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

বরং আইসোলেশন সেন্টারগুলির পরিকাঠামো থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম, সবকিছুরই বন্দোবস্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। বলা হয়, বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (এসডিআরএফ) থেকেই সমস্ত খরচ বহন করতে হবে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে শনিবার মাস্ক এবং হাত ধোওয়ার স্যানিটাইজারকে অত্যাবশকীয় পণ্যের মধ্যে শামিল করেছে কেন্দ্র। তার জন্য উৎপাদনকতারী সংস্থাগুলিকে এর জোগান বাড়ানোর নির্দেশ দিতে পারে রাজ্যগুলি।

প্রায় তিন মাস ধরে নোভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুঝছে চিন-সহ গোটা বিশ্ব। কমপক্ষে ১০০টি দেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়েছে। তাতে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ইউরোপের ইটালি, স্পেন এবং পশ্চিম এশিয়ার ইরানের পরিস্থিতি মারাত্মক। সেখানে ১২ হাজার ৭২৯ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৬১১ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে সহযোগিতা চেয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

অন্য দিকে, গত কয়েক সপ্তাহে চিনে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, শনিবার সেখানে আরও ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ১৯৯-তে গিয়ে ঠেকেছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় বিদেশি বিমানের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। রবিবার থেকে দেশের সমস্ত দোকান, রেস্তরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্সও। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৭২ জন নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button