আন্তর্জাতিক

ভারত মহাসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠালো চীন, কড়া হুঁশিয়ারি দিল্লির

করোনা বিপর্যয় নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব। আর এর মধ্যেও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উদ্বেগজনকভাবে গতিবিধি বাড়ছে চিনের। সম্প্রতি এই সমুদ্র অঞ্চলে নিজেদের সাত থেকে আটটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে তারা। এমনই জানিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার এক শীর্ষ কর্তা।

ভারত মহাসাগরে ‘ড্রাগনের’ এই আগ্রাসী মনোভাবে স্বভাবতই বেজায় ক্ষুব্ধ ভারত। ভারতীয় অঞ্চলে ঢুকে লাল ফৌজের এই ‘মাতব্বরি’ যে হালকা ভাবে নেওয়া হবে না, তা সাউথ ব্লকের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অরুণাচলে লাল ফৌজের আগ্রাসন ঘিরে এর আগে ভারত এবং চিনের সম্পর্কে তিক্ততার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। এ বার ভারত মহাসাগরকে চীন যে ভাবে নিজের কব্জায় আনতে চাইছে তা দু’দেশের মধ্যে নয়া সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে বলে মত পর্যবেক্ষক মহলের।

ভারত মহাসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের একটি রুট তৈরির দীর্ঘদিনের বাসনা আছে বেজিংয়ের। পরিকল্পিত এই যাত্রাপথের নিরাপত্তার ভারও নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া তারা। এরই অঙ্গ হিসেবে ওই অঞ্চলে চিনা ভেসেলের সর্বক্ষণের উপস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘রাইসিনা সংলাপ’-এ (Raisina Dialogue) তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কেউ আমাদের অঞ্চল পরিচালনা করতে চাইলে সর্বপ্রথম তা আমাদের জানাতে হবে।’

চিনের এই দাদাগিরি মধ্যে ভারতও যে হাত গুটিয়ে বসে নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারতীয় নৌসেনার তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইস্টার্ন নেভাল কমান্ডের ডরনিয়ার স্কোয়াড্রন এবং INAS ৩১১ এয়ার স্কোয়াড্রন প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। এছাড়া নৌসেনার অন্যান্য এয়ার স্কোয়াড্রনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে যে কোনও মুহূর্তে তাদের মোতায়েন করা হতে পারে।’

এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৬০টি দেশকে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে হাত দিয়েছে বেজিং। এই প্রকল্পের আওতায় নিজের দেশের চারপাশ ঘিরে স্থল ও জলে নতুন এক বাণিজ্য পথ খুলতে সচেষ্ট তারা। এই চিনা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। এতে যোগ দিলে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হতে পারে বলে আশঙ্কা দিল্লির। ভারত মনে করে, এটা উপনিবেশবাদের নতুন রূপ, যা দুর্বল রাষ্ট্রকে ক্রমাগত চিনের জালে জড়িয়ে ফেলবে।

সুত্রঃ এইসময়

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button